Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
National News

কংগ্রেসের ভরাডুবি শুরু হয়েছিল শীলা দীক্ষিতের সময়, তোপ দেগে পদ ছাড়লেন চাকো

দিল্লির প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফার প্রস্তাব দিয়েছেন সুভাষ চোপড়াও। 

কংগ্রেস নেতা পি সি চাক্কো ও দিল্লির প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত। —ফাইল চিত্র

কংগ্রেস নেতা পি সি চাক্কো ও দিল্লির প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত। —ফাইল চিত্র

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৬:১০
Share: Save:

দিল্লিতে একটি আসনও পায়নি কংগ্রেস ।জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৬৩ প্রার্থীর। তবু বিজেপির পরাজয় এবং আপের বিপুল জয় নিয়েই উচ্ছ্বসিত ছিল কংগ্রেস। কিন্তু সেই ‘খুশি’র আবহ কাটিয়ে এ বার দলে শুরু হল ভাঙন। দিল্লিতে ভরাডুবির জন্য প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতকে দায়ী করে কংগ্রেসের দলীয় পদ ছাড়লেন দলের বর্ষীয়ান নেতা পি সি চাকো। তবে এক জন প্রয়াত নেত্রীকে টেনে এ ভাবে মুখ খোলায় কংগ্রেস নেতাদের আক্রমণের মুখে পড়েছেন চাকো। দিল্লির প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফার প্রস্তাব দিয়েছেন সুভাষ চোপড়াও।

টুইটারে চাকো লিখেছেন, ‘‘কংগ্রেসের পতন শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালে যখন শীলা দীক্ষিত মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। নতুন দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে কংগ্রেসের পুরো ভোটব্যাঙ্ক দখল করে নিয়েছিল আপ। তার পর থেকে আমরা আর সেটা ফিরে পাইনি। এখনও সেই ভোট ব্যাঙ্ক আপের সঙ্গেই রয়েছে।’’

কিন্তু বর্ষীয়ান নেতা তথা দলের মুখপাত্র চাকোর এই অবস্থান ভাল ভাবে নেয়নি কংগ্রেস। মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি মিলিন্দ দেওরার পাল্টা টুইট, ‘‘শীলা দীক্ষিত ছিলেন অভিজ্ঞ রাজনীতিক ও দক্ষ প্রশাসক। তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্বের সময়ে দিল্লির অনেক উন্নয়ন হয়েছিল এবং কংগ্রেস অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে এক জন নেত্রীর মৃত্যুর পর তাঁকে দোষারোপ করা হচ্ছে। তিনি নিজের জীবন কংগ্রেস এবং দিল্লিবাসীর জন্য উৎসর্গ করেছিলেন।’’

আরও পড়ুন: রবিবার শপথ কেজরীবালের, আরও জোরদার বিরোধী ঐক্যের প্রস্তুতি

মঙ্গলবারই দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে। ৬২টি আসন জিতে নজরকাড়া ফল আম আদমি পার্টি (আপ)-র। তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন অরবিন্দ কেজরীবাল। বিজেপির ঝুলিতে মাত্র আটটি আসন।

কিন্তু কংগ্রেসের ফল সবচেয়ে খারাপ। হাতে একটিও আসন নেই। ৭০-এর মধ্যে ৬৩ জন প্রার্থীরই জমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ২০১৫ সালেও একটিও আসন পায়নি কংগ্রেস। কিন্তু তখন এতটা শোচনীয় পরিস্থিতি ছিল না। দল ভোট পেয়েছিল ৯.৭ শতাংশ। কিন্তু এ বার সেই ভোটের হারও কমে তলানিতে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ব্যাখ্যা কংগ্রেসের পুরো ভোটটাই গিয়েছে কেজরীবালের আপের ঝুলিতে।

আরও পড়ুন: সরকারি ওয়েবসাইট থেকে গায়েব অসম এনআরসি-র তথ্য, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ কংগ্রেসের

তবু নিজেদের ভরাডুবি নিয়ে যতটা না চিন্তিত ছিল কংগ্রেস, তার চেয়েও বেশি উচ্ছ্বাস ছিল বিজেপির শোচনীয় পরাজয়ে। দলের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালাও বলেছিলেন, ‘‘যাই হোক, যুদ্ধে আমরা হারিনি।’’ কিন্তু রাত পোহাতেই সেই ছবিটা কিছুটা হলেও ম্লান। চাকো পদ ছেড়ে তোপ দেগেছেন। দলের অভ্যন্তরেও কোন্দল শুরু হয়েছে বলে একটি সূত্রে খবর।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy