— ফাইল ছবি
সেনাবাহিনীতে মহিলা অফিসারদের স্থায়ী ভাবে নিয়োগের ব্যবস্থা কার্যকর করা নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার পরেও তা কার্যকর না হওয়ায় চলতি মাসের শুরুতেই সেই রায় মেনে চলার কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার তা নিয়ে আনুষ্ঠানিক অনুমতি দিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ঐতিহাসিক রায়ের প্রায় ৫ মাস পর এই পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় সরকার।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আওতায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর মোট ১০ টি ক্ষেত্রে স্থায়ী কমিশনড পদে মহিলা অফিসারদের নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে আর্মি এয়ার ডিফেন্স, সিগন্যালস, ইনজিনিয়ারিং, আর্মি এ্যাভিয়েশন, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড মেকানিক্যাল ইনজিনিয়ারিং, আর্মি সার্ভিস কোর, আর্মি অর্ডন্যান্স কোর এবং ইনটেলিজেন্স কোর।
ভারতীয় সেনার মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপের ফলে বাহিনীতে মহিলাদের আরও বড় দায়িত্ব পাওয়ার পথ প্রশস্ত হল। প্রায় দশ বছরের লড়াই। অবশেষে মহিলাদের স্থায়ী কমিশন বাস্তবে পরিণত হল।
আরও পড়ুন: ডেন্টাল কলেজের হস্টেলে মহিলা চিকিৎসকের গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত দেহ
এর আগে এই ইস্যুতে সেনাবাহিনীর মনোভাবের কড়া সমালোচনা করে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি অজয় রাস্তোগির বেঞ্চ রায় দেয়, কমান্ডিং অফিসারের পদ থেকে মহিলাদের বাদ রাখা চলবে না। সেনার যে সব মহিলা অফিসারদের শর্ট সার্ভিস কমিশনে ১৪ বছর চাকরি হয়ে গিয়েছে এবং যাঁরা এখনও চাকরি করছেন, তাঁদের সকলকেই পার্মানেন্ট কমিশনের জন্য বিবেচনা করতে হবে। পার্মানেন্ট কমিশনে গেলে তবেই কমান্ডিং অফিসারের পদ পাওয়ার সুযোগ থাকে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রে বিরুদ্ধ স্বরকে দমিয়ে দেওয়া যায় না, সুপ্রিম কোর্টে প্রাথমিক জয় পাইলট শিবিরের
কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টে যুক্তি দিয়েছিল, পুরুষ জওয়ানেরা মহিলা কমান্ডিং অফিসারদের নির্দেশ না-ও মানতে পারেন। সন্তানধারণ, মাতৃত্ব, পরিবার-সন্তানের প্রতি দায়িত্ব মহিলাদের কাজ আরও কঠিন করে তুলবে। সেই ‘মনোভাব বস্তাপচা’ বলেই উত্তরে জানান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। ওই যুক্তি সাংবিধানিক বিচারেও ভুল বলে জানান বিচারপতি। কারণ, সংবিধানে সরকারি চাকরিতে সমানাধিকারের কথা বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy