প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ছবি: পিটিআই।
লাদাখের বাস্তব পরিস্থিতি কী, তা নিয়ে প্রশ্নের তির বিঁধতে শুরু করেছে। চাপ কমাতে আজ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানিয়ে দিলেন, তিনি এ বিষয়ে যা বলার, সংসদেই বলবেন। রাজনাথ বলেন, “আমি এ ব্যাপারে মানুষকে বিভ্রান্ত করব না।”
নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রথম ইনিংসের ‘সাফল্যের’ তালিকায় অন্যতম ছিল উরি হামলার জবাবে পাকিস্তানে সার্জিকাল স্ট্রাইক এবং পুলওয়ামায় নাশকতার জবাবে পাক জঙ্গি ঘাঁটিতে বায়ুসেনার অভিযান। কিন্তু মোদী সরকারের দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম বর্ষপূর্তিতে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) চিনের সঙ্গে ভারতীয় সেনার দ্বন্দ্ব বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। রাহুল গাঁধী-সহ বিরোধীদের ইঙ্গিত, লাদাখ নিয়ে সরকারের দাবির সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই।
গত শনিবার দু’দেশের সেনা-কর্তাদের বৈঠক হলেও লাদাখ-দ্বন্দ্ব মেটেনি। আজ রাজনাথ চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ এবং সামরিক বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন। ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় ধরে শনিবারের বৈঠকের পর্যালোচনা হয়। সেনা সূত্রের খবর, ভারত দাবি তুলেছে, এপ্রিলের শেষে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় যে পরিস্থিতি ছিল, তা বজায় রাখা হোক। অর্থাৎ, চিন পিছু হটে সেনা মোতায়েন কমাক।
এই বৈঠকের পরে এক ভার্চুয়াল জনসভায় রাজনাথ বলেন, “রাহুল গাঁধী ও বিরোধীদের কেউ কেউ ভারত-চিন সীমান্তে কী হচ্ছে, তা জানতে চেয়েছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে যা বলার, সংসদেই বলব।” তাঁর মন্তব্য, “৬ জুনের বৈঠক খুবই ইতিবাচক হয়েছে। ভারত, চিন বর্তমান দ্বন্দ্ব মেটাতে আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে। আমি আশ্বস্ত করতে চাই যে, দেশ মজবুত হাতে হয়েছে।”
আরও পড়ুন: মানসিক চাপ বৃদ্ধিই কৌশল চিনের
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সোমবারেও ভার্চুয়াল জনসভায় দাবি করেছেন, ভারতের সীমান্তে কেউ অনুপ্রবেশ করলে তার শাস্তি হবে। তবে চিনের নাম করেননি তিনি। বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারতের সীমান্তে অনুপ্রবেশ হলে শাস্তি মিলবে।” রাহুল আজ তাঁকে কটাক্ষ করে মির্জা গালিবের কবিতার সুরে বলেন, “সব কো মালুম হ্যায় সীমা কি হকিকত, লেকিন দিল কো খুশ রখনে কো শাহ-য়দ ইয়ে খয়াল অচ্ছা হ্যায়!’ অমিত বিকেলে ওড়িশার জন্য জনসভায় ফের বলেন, “আগে বলা হত, আমেরিকা আর ইজ়রায়েলই এমন দেশ, যারা তাদের সেনার রক্তপাতের বদলা নিতে পারে। মোদী সেই তালিকায় ভারতের নাম ঢুকিয়ে দিয়েছেন।” রাহুলের কথায়, “সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে, মুখ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। সত্যিটা প্রতিটি সেনা অফিসারের রক্তে রয়েছে। তাঁরা জানেন লাদাখে বাস্তবে কী হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy