বহুতল ধসে মৃত ১৪
মুম্বইয়ে বহুতল ধসে পড়ার ঘটনায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই ১৪ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও অনেকে আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা। ফলে বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা। আর এরই মধ্যে, প্রায় ১০০ বছরের ওই আবাসনটি ভেঙে পড়ার দায় কার সে নিয়ে শুরু হয়েছে চাপান-উতোর।
মঙ্গলবার দক্ষিণ মুম্বইয়ের ডোংরি এলাকার তান্ডেল রোডে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওই আবাসনে ১০-১৫টি পরিবার বাস করত। ঘটনার সময় বেশির ভাগ পরিবারের সদস্যরা বাড়িতেই ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ কেশরবাঈ নামের চারতলা বাড়িটির একাংশ হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে। চার দিকে তখন কংক্রিটের চাঙড়, ধুলো-কাদার আস্তরণ আর তালগোল পাকিয়ে যাওয়া ধাতব কাঠামোর স্তূপ। তারপর থেকে যত সময় গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে উৎকণ্ঠা আর উদ্বেগ।
এলাকাটি অত্যন্ত ঘিঞ্জি হওয়ায় প্রাথমিক ভাবে উদ্ধারকারীদের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। স্থানীয়েরা জানান, রাস্তা এতটাই সরু যে, ধ্বংসস্তূপ সরাতে যন্ত্র পর্যন্ত আনা যায়নি। অ্যাম্বুল্যান্সকেও ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ৫০ মিটার দূরে দাঁড় করাতে হয়। তার মধ্যেই মানবশৃঙ্খল গড়ে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারা। মঙ্গলবার রাতভর উদ্ধারকাজ চলে। এখনও পর্যন্ত দুই শিশু-সহ ন’জনকে জীবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
এ মাসের গোড়ায় মালাডে প্রবল বৃষ্টিতে বহুতলের দেওয়াল ধসে ২৯ জনের মৃত্যু হয়। তার ১৫ দিনের মধ্যে ফের বহুতল ভাঙার ঘটনায় আঙুল উঠছে প্রশাসনের দিকেই। স্থানীয়দের অভিযোগ, জরাজীর্ণ বাড়িটি সারানোর জন্য বহু বছর ধরে তাঁরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছেন। তবু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এলাকায় এমন আরও জীর্ণ বাড়ি রয়েছে, বর্ষায় সেগুলি আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।
অভিযোগ মেনে নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস। তিনি বলেন, “বাড়িটি ১০০ বছরের পুরনো। কিন্তু জীর্ণ বাড়ির তালিকায় সেটির নাম ছিল না। এক নির্মাতা সংস্থাকে পুনর্নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।”
আরও পড়ুন: সবাইকে ঠিক করতে জানি, গরহাজির মন্ত্রীদের কড়া ধমক মোদীর
বিরোধীদের অভিযোগ, বেআইনি নির্মাণের রমরমা ও শাসকের দুর্নীতির কারণেই বারবার এমন ঘটছে। মহারাষ্ট্র আবাসন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (মহাডা) চেয়ারম্যান উদয় সামন্ত মেনে নেন,ডোংরি তাঁদেরই এলাকাভুক্ত। মহাডার কোনও আধিকারিকের গাফিলতি রয়েছে প্রমাণ হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্যবস্থা নেওয়া হবে পুনর্নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার অবহেলা প্রমাণিত হলেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy