ছবি রয়টার্স।
করোনার টিকা কবে আসবে, ঠিক নেই। তবে টিকা মজুত করতে আগেভাগেই দেশ জুড়ে কোল্ড স্টোরেজের বন্দোবস্ত করার কথা ভাবছে কেন্দ্র।সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই বলেছে, সরকারি-বেসরকারি ওষুধ নির্মাতা সংস্থা, কৃষি বিপণন ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সংস্থা, এমনকি সুইগি বা জ়োম্যাটো-র মতো খাবার পৌঁছে দেওয়ার স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলির সঙ্গেও এই বিষয়ে কথা বলেছে সরকারি বিশেষজ্ঞ কমিটি।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে দ্রুত টিকা পৌঁছে দিতে এই সংস্থাগুলির কোন কোন কোল্ড স্টোরেজ বা বড় ফ্রিজ় ব্যবহার করা যেতে পারে, সেগুলিকে চিহ্নিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কথাও ভাবা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের আশা, একটি ভারতীয় ও অন্তত তিনটি বিদেশি টিকা কয়েক মাসের মধ্যে হাতে আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে মাইনাস ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সেগুলিকে মজুতের বন্দোবস্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন: মোদীকে নিশালা রাহুলের
‘স্পুটনিক-ভি’-র টিকা তৈরিতে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হায়দরাবাদের রেড্ডি’জ় ল্যাবরেটরিজ়কে সম্প্রতি পরীক্ষামূলক প্রয়োগের সংশোধিত প্রোটোকল জমা দিতে বলেছিল সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের বিশেষজ্ঞ প্যানেল। জানা গিয়েছে, এ দেশের বড় সংখ্যক জনগোষ্ঠীর মধ্যে সরাসরি রুশ টিকার তৃতীয় তথা চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রয়োগ করতে চেয়েছিল রেড্ডি’জ়।
আরও পড়ুন: সবচেয়ে বেশি অপব্যবহার বাক্-স্বাধীনতার: সুপ্রিম কোর্ট
কিন্তু ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মতে, রাশিয়ায় হাতে গোনা কিছু স্বেচ্ছাসেবককে নিয়ে ‘স্পুটনিক-ভি’-র প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা হয়েছে। ভারতীয়দের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে কি না, সেই তথ্য নেই। তাই এ দেশে রুশ টিকার তৃতীয় পর্যায়ের পাশাপাশি দ্বিতীয় পর্যায়েরও পরীক্ষা চালাতে বলা হয়েছে রেড্ডি’জ়কে।
আরও পড়ুন: দলিত-মুসলিম ভোট ভাগ করতে নয়া জোট
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ‘কোভিশিল্ড’ টিকার চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা অবশ্য মসৃণ ভাবেই এগোচ্ছে। চণ্ডীগড়ের পিজিআইএমইআর-এ টিকার প্রথম ডোজ় নেওয়া ৫৩ জনের শরীরে সাত দিন পরেও তেমন বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়নি। অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছিল, কোভিড অতিমারি চলাকালীন লাভজনক ভাবে টিকা বিক্রি করবে না তারা। সেই সময়সীমা কত দিন, তার আভাস মিলেছে ব্রাজিলের জনস্বাস্থ্য সংস্থা ‘ফিওক্রুজ়’-এর সঙ্গে তাদের স্বাক্ষরিত সমঝোতাপত্রে। একটি পত্রিকার দাবি, ‘অতিমারির সময় ২০২১ সালের ১ জুলাই শেষ হবে’ বলে লেখা হয়েছে ওই সমঝোতাপত্রে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা মনে করলে ওই সময়সীমা বাড়াতে পারে। অন্যথায় এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে, জুলাই থেকেই নিজেদের লাভ রেখে টিকা বিক্রি করবে সংস্থাটি। অ্যাস্ট্রাজেনেকার সিইও পাস্কাল স্করিয়ট এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি।
আনলক-পর্বে বিনোদন পার্ক, জাদুঘর, সিনেমা-থিয়েটার, বাগান ইত্যাদি খোলার সময়ে কী ভাবে সেগুলিকে জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে, তা নিয়ে আজ নয়া নির্দেশিকা দিয়েছে কেন্দ্র। বলা হয়েছে, বিনোদন পার্কে স্যানিটাইজ়ার রাখতে হবে। রাইডগুলি চড়ার আগে-পরে প্রত্যেককে হাত জীবাণুমুক্ত করতে হবে। পার্ক থেকে ফুড কোর্ট— সর্বত্র পারস্পরিক দূরত্ব বাধ্যতামূলক। সুইমিং পুল বন্ধই। তবে জল পরিশুদ্ধ রেখে ওয়াটার-থিম পার্কগুলি খোলার কথা বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy