টিকাদানের প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। ছবি: পিটিআই
প্রত্যেকের জন্য দু’টি করে ডোজ। করোনা টিকার অনুমোদনের পরেই কত টিকা নষ্ট হতে পারে, সেই হিসেবও কষে ফেলল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, করোনা টিকার ক্ষেত্রে এই হার নির্ধারিত করা হয়েছে ১০ শতাংশের মতো। সংখ্যার হিসেবে ১০০টি টিকার দরকার হলে সরকারকে কিনতে হবে ১১১টি। এই অনুযায়ী কোন রাজ্যে কত টিকা লাগবে, তার তথ্য-পরিসংখ্যান রাজ্যগুলির কাছ থেকে চেয়েছে কেন্দ্র।
ভারতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে সিরাম ইনস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগে তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ এবং ভারত বায়োটেকের তৈরি ‘কোভ্যাক্সিন’। দুই টিকার ক্ষেত্রেই নিতে হবে দু’টি করে ডোজ। ইউনিভার্সাল ইমিউনাইজেশন প্রোগ্রাম (ইউআইপি) অনুযায়ী উৎপাদন কেন্দ্র থেকে প্রান্তিক ব্যবহারকারী পর্যন্ত পৌঁছনোর মাঝে যে বিশাল কর্মযজ্ঞ, তাতেই কিছু সংখ্যক টিকা নষ্ট হয়। অর্থাৎ পরিবহণের সময় দুর্ঘটনা বা অন্য কোনও কারণে নষ্ট হতে পারে। করোনার টিকা ২ থেকে ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যে সংরক্ষণ করার কথা। সে ক্ষেত্রেও যান্ত্রিক ত্রুটিতে কিছু নষ্ট হতে পারে। আবার টিকা কেন্দ্রে পৌঁছনোর পরেও প্রান্তিক ব্যবহারকারীকে প্রয়োগ পর্যন্ত কিছু নষ্ট হতে পারে।
এই নষ্ট হওয়ার বিষয়টিকেই বলা হয় ‘ওয়েস্টেজ মাল্টিপ্লিকেশন ফ্যাক্টর’ বা ডব্লিউএমএফ। বিভিন্ন টিকার ক্ষেত্রে এই হার বিভিন্ন রকম। করোনার টিকার ক্ষেত্রে এই হার ১০ শতাংশের মতো ধার্য করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিক ও বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: এক দিনে সক্রিয় রোগী কমল প্রায় ১৩ হাজার, নতুন আক্রান্ত ১৬ হাজার
আরও পড়ুন: কিশোর-কিশোরীর উপরেও ‘ভারতীয়’ টিকা-পরীক্ষায় সায়
মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতি ১০০ জনের জন্য টিকার প্রয়োজন হবে ২২২টি। একই ভাবে ৩০ কোটি মানুষের জন্য প্রয়োজন হবে ৬৬ কোটি ৬ লক্ষ টিকা। তবে এই নষ্ট হওয়ার টিকার সংখ্যা যতটা সম্ভব কমানোর কথাও বলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy