প্রতীকী ছবি।
ধর্ষণের মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিল আদালত। সাত বছর আগে চেন্নাইয়ের ওই ঘটনায় নির্দোষ সাব্যস্ত হওয়ার পরে সন্তোষ নামে ওই ব্যক্তি ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন। তারই জেরে শনিবার এই রায় দিয়েছে আদালত।
ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ দায়েরের সময় সন্তোষ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র ছিলেন। অভিযোগকারিণী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যেরা পুলিশ এবং আদালতকে জানান, সন্তোষ ধর্ষণ করার ফলেই তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। এক সন্তানেরও জন্ম দেন অভিযোগকারিণী।
২০০৯ সালের শেষ পর্বের ওই ঘটনায় অভিযোগ দায়েরের পরেই পুলিশ সন্তোষকে গ্রেফতার করেছিল। ৯৫ দিন পরে ২০১০-এর ফেব্রুয়ারিতে তিনি জামিনে মুক্তি পান। সেক্রেটারিয়েট কলোনি থানার তদন্তকারী পুলিশ ইনস্পেক্টরও চার্জশিটে সন্তোষকে ‘দোষী’ হিসেবে চিহ্নিত করেন। কিন্তু ডিএনএ পরীক্ষায় জানা যায়, অভিযুক্ত সন্তোষ ওই সন্তানের পিতা নন।
ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট মেলার পরে ২০১৬ সালে চেন্নাইয়ের মহিলা আদালত ধর্ষণের মিথ্যা মামলা থেকে সন্তোষকে মুক্তি দেন। কিন্তু তত দিনে সাত বছর পেরিয়ে গিয়েছে। সন্তোষ আদালতে মানহানি এবং ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের করেন। জানান, ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার ফলে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের ক্ষতি হয়েছে। নষ্ট হয়েছে কেরিয়ার। নিজেকে আদালতে নির্দোষ সাব্যস্ত করতে প্রায় ২ লক্ষ টাকা খরচও হয়ে গিয়েছে। এ জন্য মোট ৩০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা দায়ের করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভুটানের ভিতরেই গ্রাম বানিয়েছে চিন!
চেন্নাইয়ের একটি আদালত সন্তোষকে ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার রায় ঘোষণা করে জানিয়েছে, অভিযোগকারিণী, তাঁর পরিবার এবং সেক্রেটারিয়েট কলোনি থানার তদন্তকারী পুলিশ ইনস্পেক্টরের থেকে ওই টাকা আদায় করা হবে।
আরও পড়ুন:অরুণাচল থেকে উত্তরাখণ্ড, এলএসি-তে বাড়ছে চিনা ফৌজের ‘তৎপরতা’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy