গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
সাড়ে আট লক্ষ ছুঁতে চলেছে দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লক্ষ ৪৯ হাজার ৫৫৩। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ৬৩৭ জন। এক দিনে আক্রান্তের নিরিখে যা সর্বোচ্চ।
দেশে ইতিমধ্যেই করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২২ হাজার ৬৭৪ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫৫১ জনের। তবে আশার আলো এই যে, সংক্রমণ বাড়লেও সুস্থ হয়ে ওঠার হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়েছেন ৫ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬২১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৯ হাজার ২৮৬ জন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, সংক্রমণের দিক থেকে দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬০০। তার পরেই রয়েছে তামিলনাড়ু। সেখানে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ২২৬। তার পরেই রয়েছে দিল্লি। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ১০ হাজার ৯২১ জন। তার পর রয়েছে গুজরাত (৪০,৯৪১), কর্নাটক (৩৬,২১৬), উত্তরপ্রদেশ (৩৫,০৯২), পশ্চিমবঙ্গ (২৮,৪৫৩)।
আরও পড়ুন: কবে কোভিড ভ্যাকসিন, বলা সম্ভব নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আরও পড়ুন: নন-কোভিডদের জন্য মেডিক্যালে পরিকাঠামো বৃদ্ধি
আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যুও ধারাবাহিক ভাবে বাড়ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫৫১ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু হল ২২ হাজার ৬৭৪ জনের। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ১১৬ জনের। দিল্লিতেও মৃত্যু ধারাবাহিক ভাবে বেড়েছে। করোনার প্রভাবে সেখানে মোট তিন হাজার ৩৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা গুজরাতে মারা গিয়েছেন দু’হাজার ৩২ জন। তামিলনাড়ুতেও ধারাবাহিক ভাবে করোনায় মৃত্যু বেড়েছে। যার জেরে বেশ কয়েকটি রাজ্যকে টপকে তালিকার উপরের দিকে উঠে এসেছে দক্ষিণের এই রাজ্য। সেখানে এখনও অবধি ১৮৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর পরই তালিকায় রয়েছে উত্তরপ্রদেশ (৯১৩), পশ্চিমবঙ্গ (৯০৬) ও মধ্যপ্রদেশ (৬৪৪), কর্নাটক (৬১৩)। এ ছাড়া শতাধিক মৃত্যুর তালিকায় রয়েছে রাজস্থান (৫০৩), তেলঙ্গানা (৩৪৮), হরিয়ানা (২৯৭), অন্ধ্রপ্রদেশ (৩০৯)।
পশ্চিমবঙ্গেও বাড়ছে সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ হাজার ৪৫৩। মৃত্যু হয়েছে ৯০৬ জনের। সংক্রমণ ঠেকাতে ইতিমধ্যেই কন্টেনমেন্ট জোনগুলোতে সাত দিনের জন্য পূর্ণ লকডাউন জারি করেছে রাজ্য সরকার।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy