দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছ’লক্ষ ৯৭ হাজার ৪১৩। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।
করোনা আক্রান্ত দেশগুলির তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এল ভারত। পিছনে ফেলল রাশিয়াকে। ফ্রান্স, ইটালি, ব্রিটেনের মতো দেশকে পিছনে ফেলে অনেক দিন ধরেই চতুর্থ স্থানে ছিল ভারত। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে দ্রুত গতিতে দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে ভারত পিছনে ফেলল রাশিয়াকে। জন্স হপকিন্সের তথ্য অনুসারে, রাশিয়ায় মোট আক্রান্ত ছ’লক্ষ ৮০ হাজার। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২৫ হাজার বেড়ে ভারতে মোট আক্রান্ত এখন সাত লক্ষ ছুঁইছুঁই। মোট করোনা আক্রান্তের নিরিখে বিশ্বের প্রথম স্থানে আমেরিকা। সেখানে আক্রান্ত ২৮ লক্ষেরও বেশি। ১৬ লক্ষের বেশি সংমক্রণ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল।
ভারতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাটা রোজ দিন বেড়েই চলেছে। ২০-২২ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে রোজ নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাটা ২৪-২৫ হাজার ছুঁয়ে ফেলেছে। যার জেরে দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিডে মোট আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ২৪৮ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ছ’লক্ষ ৯৭ হাজার ৪১৩ জন।
আক্রান্ত দ্রুত হারে বাড়লেও, ভারতে করোনা রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠার পরিসংখ্যানটাও বেশ স্বস্তিদায়ক। এখন দেশে সুস্থ হয়ে ওঠা করোনা রোগীর সংখ্যা সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যার চেয়ে বেশি। রবিবারই সুস্থ হওয়ার সংখ্যাটা চার লক্ষ ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৩৫০ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট চার লক্ষ ২৪ হাজার ৪৪৩ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হলেন।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি রুখে দিয়েছিল কেরল। কিন্তু মহারাষ্ট্রে তা বল্গাহীন ভাবেই বেড়েছে। গোড়া থেকেই এই রাজ্য কার্যত সংক্রমণের শীর্ষে ছিল। তার পর সময় যত গড়িয়েছে, এই রাজ্য নিয়ে সারা দেশের শঙ্কা বেড়েছে। রবিবার সে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা দু’লক্ষ ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ছ’হাজার ৫৫৫ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন সেখানে। এ নিয়ে সে রাজ্যে মোট আক্রান্ত হলেন দু’লক্ষ ছ’হাজার ৬১৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় চার হাজারেরও বেশি বেড়ে তামিলনাড়ুতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল এক লক্ষ ১১ হাজার ১৫১ জন। দিল্লির আক্রান্তও এক লক্ষ ছুঁইছুঁই। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২,২০০ বেড়ে রাজধানীতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ৯৯ হাজার ৪৪৪ জন। দেশের মোট সংক্রমণের মধ্যে ৬০ শতাংশই এই তিনটি রাজ্য থেকে।
৩৬ হাজার ৩৭ সংক্রমণ নিয়ে গুজরাত ও ২৭ হাজার ৭০৭ আক্রান্ত নিয়ে উত্তরপ্রদেশ, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে। তেলঙ্গানা, কর্নাটক, পশ্চিমবঙ্গ ও রাজস্থানের মোট আক্রান্ত ২০ হাজারে গণ্ডি পার করে ছুটে চলেছে। তেলঙ্গানা (২৩,৯০২), কর্নাটক (২৩,৪৭৪), পশ্চিমবঙ্গ (২২,১২৬) ও রাজস্থানে (২০,১৬৪) জন আক্রান্ত হয়েছেন। অন্ধ্রপ্রদেশ (১৮,৬৯৭), হরিয়ানা (১৭,০০৫), মধ্যপ্রদেশ (১৪,৯৩০), বিহার (১১,৮৭৬) ও অসমে (১১,৩৮৮) রোজ দিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এর পর ক্রমান্বয়ে রয়েছে ওড়িশা, জম্মু ও কাশ্মীর, পঞ্জাব, কেরল, ছত্তীসগঢ়, উত্তরাখণ্ড, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যগুলি।
লকডাউন উঠে যাওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গেও নতুন করে অনেক বেশি সংক্রমণ হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৯৫ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এ রাজ্যে। ২৪ ঘণ্টার নিরিখে যা সর্বাধিক। এই বৃদ্ধির জেরে মোট আক্রান্ত হলেন ২২ হাজার ১২৬ জন। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মোট ৭৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy