দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ লক্ষ ৩০ হাজার ২৩৬ জন। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।
পাঁচ দিন পর দেশের দৈনিক করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ হাজারের নীচে নামল। সঙ্গে গত কয়েক দিনের তুলনায় দৈনিক মৃত্যুও আজ খানিকটা কম। দেশের সংক্রমণ হারও দিন পাঁচেক পর সাত শতাংশের নীচে নেমে গেল।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৮৩ হাজার ৮০৯ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। ওই সময়ের মধ্যে আমেরিকা ও ব্রাজিলে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৩৩ হাজার ৮৪৫ ও ১৫ হাজার ১৫৫ জন। গত এক মাস ধরেই ওই দু’টি দেশের তুলনায় ভারতের নতুন সংক্রমণ অনেক বেশি সংখ্যায় হচ্ছে। গত কয়েক দিনে তা দুই থেকে তিন গুণ হয়ে গিয়েছে।
৮৩ হাজার বৃদ্ধির জেরে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৪৯ লক্ষ ৩০ হাজার ২৩৬ জন। প্রথম স্থানে থাকা আমেরিকায় মোট আক্রান্ত ৬৫ লক্ষ ৫৩ হাজার ও তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে মোট আক্রান্ত ৪৩ লক্ষ ৪৫ হাজার।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )
মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ ও কর্নাটক— দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধিতে দেশের মধ্যে এগিয়ে এই তিনটি রাজ্য। তবে এই তিনটি রাজ্যেই দৈনিক আক্রান্ত আজ গত কয়েকদিনের তুলনায় কমেছে। উত্তরপ্রদেশে গত কয়েক দিন ধরে ছ’হাজারের কাছে ঘোরাফেরা করছিল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। আজ তা পাঁচ হাজারে নেমেছে। দিল্লিতে চার থেকে কমে হয়েছে ৩ হাজার ২২৯। বিহারে কিছুটা বাড়লেও পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যাটা একই আছে। কিন্তু ওড়িশা ও ছত্তীসগঢ়েতে দৈনিক সংক্রমণ আজও লাগামছাড়া। কেরল, পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, গুজরাতের মতো রাজ্যগুলিতে একই হারে বাড়ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা।
দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি দৈনিক মৃত্যুতেও এখন অন্যান্য দেশের থেকে এগিয়ে ভারত। মোট মৃত্যুর নিরিখে বিশ্বের তৃতীয় স্থানে থাকলেও, প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা আমেরিকা ও ব্রাজিলের তুলনায় ভারতে মোট মৃত্যু অনেক কম। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৫৪ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট ৮০ হাজার ৭৭৬ জনের প্রাণ কাড়ল করোনাভাইরাস। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মারা গিয়েছেন ২৮ হাজার ৮৯৪ জন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুতে মোট মৃত্যু ৮ হাজার ৪৩৪। তৃতীয় স্থানে থাকা কর্নাটকে মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ছাড়িয়েছে। দেশের রাজধানীতে সংখ্যাটা ৪ হাজার ৭৭০। অন্ধ্রপ্রদেশে (৪,৯৭২), উত্তরপ্রদেশ (৪,৪৯১), পশ্চিমবঙ্গ (৪,০০৩) ও গুজরাত (৩,২২৭) মৃত্যু তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে। পঞ্জাবে মোট মৃত্যু ২ হাজার ৪২৪। মধ্যপ্রদেশ (১,৭৯১) ও রাজস্থানেও (১,২৫০) মোট মৃত্যু বেড়ে চলেছে। এর পর তালিকায় রয়েছে তেলঙ্গানা, হরিয়ানা, জম্মু ও কাশ্মীর, বিহার, ওড়িশা, ঝাড়
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যার মধ্যেই আশার আলো কোভিড রোগীদের সুস্থ হয়ে ওঠা। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৩৮ লক্ষ ৫৯ হাজার ৩৯৯ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন। অর্থাৎ দেশে মোট আক্রান্তের ৭৮.২৮ শতাংশই সুস্থ হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৭৯ হাজার ২৯২ জন।
প্রতি দিন যে সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা হচ্ছে তার মধ্যে যত শতাংশের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হচ্ছে পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সংক্রমণ হার গত কয়েক দিনের তুলনায় কমে হয়েছে ৭.৮১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে পরীক্ষা হয়েছে ১০ লক্ষ ৭২ হাজার ৮৪৫ জনের। যা গতকালের তুলনায় প্রায় এক লক্ষ বেশি।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )
কোভিডে আক্রান্ত ও মৃত্যু— দু’টি তালিকাতেই শুরু থেকে শীর্ষে মহারাষ্ট্র। সেখানে মোট আক্রান্ত ১০ লক্ষ ৭৭ হাজার। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অন্ধ্রপ্রদেশে ৫ লক্ষ ৭৫ হাজার। তামিলনাড়ুতে মোট ৫ লক্ষ ৮ হাজার জন আক্রান্ত হয়েছেন। চতুর্থ স্থানে থাকা কর্নাটকে মোট সংক্রমিত চার লক্ষ ৬৭ হাজার। উত্তরপ্রদেশেও সংখ্যাটা ৩ লক্ষ ১৭ হাজারে পৌঁছেছে। দিল্লিতে মোট আক্রান্ত ২ লক্ষ ২১ হাজার। পশ্চিমবঙ্গে তা ২ লক্ষ ৫ হাজার। বিহার ও তেলঙ্গানাতে ১ লক্ষ ৬০ হাজার। ওড়িশাতে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ও অসমে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার। গুজরাত, কেরলে ও রাজস্থানেও এক লক্ষ ছাড়িয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। হরিয়ানা ও মধ্যপ্রদেশে এক লক্ষের দোরগোড়ার দাঁড়িয়ে।
পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণ বেশ কিছু দিন ধরে তিন হাজারের বেশি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৩ হাজার ২১১ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্ত হলেন ২ লক্ষ ৫ হাজার ৯১৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫৮ জনের। করোনার কবলে এ রাজ্যে এখনও অবধি প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজার ৩ জন।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy