Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus update

২৪ ঘণ্টায় দৈনিক আক্রান্ত কমলেও সংক্রমণ হার ছাড়াল ৯ শতাংশ

দেশে দৈনিক করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে বাড়তে পৌঁছে গিয়েছিল সাড়ে ৯৭ হাজারে। কিন্তু গত দু’দিন কিছুটা কমে ৯২ হাজারে এসে ঠেকেছে।

দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৪৮ লক্ষ ৪৬ হাজার ৪২৭ জন। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৪৮ লক্ষ ৪৬ হাজার ৪২৭ জন। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১১:১৯
Share: Save:

দেশে দৈনিক করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে বাড়তে পৌঁছে গিয়েছিল সাড়ে ৯৭ হাজারে। কিন্তু গত দু’দিন কিছুটা কমে ৯২ হাজারে এসে ঠেকেছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা পরীক্ষা হয়েছে কম ও সংক্রমণ হার উঠেছে ৯ শতাংশের উপরে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৯২ হাজার ৭১ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। ওই সময়ের মধ্যে আমেরিকা ও ব্রাজিলে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৩৬ হাজার ৪৯০ ও ১৪ হাজার ৭৬৮ জন। গত এক মাসের বেশি সময় ধরে ওই দু’টি দেশের তুলনায় ভারতের নতুন সংক্রমণ অনেক বেশি সংখ্যায় হচ্ছে। আজও তার অন্যথা হল না।

৯২ হাজার বৃদ্ধির জেরে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৪৮ লক্ষ ৪৬ হাজার ৪২৭ জন। প্রথম স্থানে থাকা আমেরিকায় মোট আক্রান্ত ৬৫ লক্ষ ১৯ হাজার ও তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে মোট আক্রান্ত ৪৩ লক্ষ ৩০ হাজার।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )

দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি দৈনিক মৃত্যুতেও এখন অন্যান্য দেশের থেকে এগিয়ে ভারত। মোট মৃত্যুর নিরিখে বিশ্বের তৃতীয় স্থানে থাকলেও, প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা আমেরিকা ও ব্রাজিলের তুলনায় ভারতে মোট মৃত্যু অনেক কম। পাশাপাশি ওই দেশগুলির তুলনায় ভারতে মৃত্যুর হারও অনেকটাই কম। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৩৬ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট ৭৯ হাজার ৭২২ জনের প্রাণ কাড়ল করোনাভাইরাস। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মারা গিয়েছেন সাড়ে ২৯ হাজার জন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুতে মোট মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৩৮১ জনের। তৃতীয় স্থানে থাকা কর্নাটকে মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ২৬৫। দেশের রাজধানীতে সংখ্যাটা ৪ হাজার ৭৪৪। অন্ধ্রপ্রদেশে (৪,৯১২), উত্তরপ্রদেশ (৪,৪২৯), পশ্চিমবঙ্গ (৩,৯৪৫) ও গুজরাত (৩,২১০) মৃত্যু তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে। পঞ্জাবে মোট মৃত্যু দু’হাজার ছাড়িয়ে বেড়ে চলেছে। মধ্যপ্রদেশ (১,৭৬২) ও রাজস্থানেও (১,২৩৬) মোট মৃত্যু বেড়ে চলেছে। এর পর তালিকায় রয়েছে তেলঙ্গানা, হরিয়ানা, জম্মু ও কাশ্মীর, বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগঢ়, উত্তরাখণ্ড, গোয়া, ত্রিপুরার মতো রাজ্যগুলি।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যার মধ্যেই আশার আলো কোভিড রোগীদের সুস্থ হয়ে ওঠা। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৩৭ লক্ষ ৮০ হাজার ১০৭ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন। অর্থাৎ দেশে মোট আক্রান্তের ৭৮ শতাংশই সুস্থ হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৭৭ হাজার ৫১২ জন।

প্রতি দিন যে সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা হচ্ছে তার মধ্যে যত শতাংশের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হচ্ছে পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সংক্রমণ হার ৯.৪১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে পরীক্ষা হয়েছে ৯ লক্ষ ৭৮ হাজার ৫০০ জনের।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )

কোভিডে আক্রান্ত ও মৃত্যু— দু’টি তালিকাতেই শুরু থেকে শীর্ষে মহারাষ্ট্র। সেখানে মোট আক্রান্ত ১০ লক্ষ ৬০ হাজার। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অন্ধ্রপ্রদেশে পাঁচ লক্ষ ৬৭ হাজার। তামিলনাড়ুতে মোট আক্রান্ত আজ ৫ লক্ষ ছাড়াল। চতুর্থ স্থানে থাকা কর্নাটকে মোট সংক্রমিত চার লক্ষ ৫৯ হাজার। উত্তরপ্রদেশেও সংখ্যাটা ৩ লক্ষ ১২ হাজারে পৌঁছেছে। দিল্লিতে মোট আক্রান্ত ২ লক্ষ ১৮ হাজার। পশ্চিমবঙ্গেও সংক্রমিতের সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়িয়েছে। বিহার ও তেলঙ্গানাতে মোট আক্রান্ত ১ লক্ষ ৫৮ হাজার। ওড়িশা ও অসমে মোট আক্রান্ত যথাক্রমে ১ লক্ষ ৫০ হাজার ও ১ লক্ষ ৪১ হাজার। গুজরাত, কেরল ও রাজস্থানেও এক লক্ষ ছাড়িয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা।

পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণ তিন হাজার পেরিয়ে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৩ হাজার ২১৫ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্ত হলেন ২ লক্ষ ২ হাজার ৭০৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫৮ জনের। করোনার কবলে এ রাজ্যে এখনও অবধি প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার ৯৪৫ জন।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus in India COVID-19 Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy