মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, দিল্লি ও গুজরাতে— এই চারটি রাজ্যে মিলে আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষেরও বেশি। গ্রাফিক-শৌভিক দেবনাথ।
ভারতে বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসের জেরে সংক্রমণ। কোভিড-১৯-এ আক্রান্তের সংখ্যা বুধবার দেড় লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ছ’হাজার ৫৬৬ জন। এই বৃদ্ধির জেরে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত হলেনএক লক্ষ ৫৮ হাজার ৩৩৩ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে, আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, দিল্লি ও গুজরাতে। এই চারটি রাজ্যে মিলে আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষেরও বেশি। গত সাত দিনে দেশে রোজ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ছ’হাজারেরও বেশি জন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেবে, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৯৪ জনের। এই নিয়ে দেশে কোভিডের কারণে মৃত্যু হয়েছে মোট চার হাজার ৫৩১ জনের। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৮৯৭ জনের। ৯৩৮ জন মারা গিয়েছেন গুজরাতে। মধ্যপ্রদেশে মৃতের সংখ্যা ৩১৩, দিল্লিতে ৩০৩, পশ্চিমবঙ্গে ২৮৯। শতাধিক মৃত্যুর তালিকায় রয়েছে উত্তরপ্রদেশ (১৮২), রাজস্থান (১৭৩),ও তামিলনাড়ু (১৩৩)।
ভারতে প্রথম করোনার সন্ধান মিলেছিল কেরলে। যদিও তার পর সেখানে সংক্রমণের হার বেশ কমে গিয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ জন আক্রান্ত হওয়ায় কেরলে সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়াল এক হাজার চার জন। দেশের করোনা আক্রান্তের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি মহারাষ্ট্রে। সে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭ হাজার ছুঁই ছুঁই। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন দু’হাজার ১৯০ জন। এ নিয়ে সে রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫৬ হাজার ৯৪৮ জন।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
আক্রান্তের হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। সে রাজ্যে মোট কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৫৪৫ জন। এর পর রয়েছে রাজধানী দিল্লি। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ২৫৭ জন। গুজরাতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ১৯৫ জন। এর পর ক্রমান্বয়ে রয়েছে রাজস্থান (৭,৭০৩), মধ্যপ্রদেশ (৭,২৬১), উত্তরপ্রদেশ (৬,৯৯১), পশ্চিমবঙ্গ (৪,১৯২), অন্ধ্রপ্রদেশ (৩,১৭১),বিহার (৩,০৬১), কর্নাটক (২,৪১৮), পঞ্জাব (২,১৩৯), তেলঙ্গানা (২,০৯৮), জম্মু-কাশ্মীর (১,৯২১), ওড়িশা (১,৫৯৩) ও হরিয়ানা (১,৩৮১)।
পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪,১৯২ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেবে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৮৩ জন। রাজ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৮৯ জনের। যদিও রাজ্য সরকারের হিসেবে, করোনাভাইরাসের জেরে মৃতের সংখ্যা ২১৯। বাকি ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে কোমর্বিডিটির কারণে।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
করোনাভাইরাসে যেমন মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, তেমন সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাটাও নেহাত কম না। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এটাই যেন আশার আলো। কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর এখনও অবধি সুস্থ হয়েছেন ৬৭ হাজার ৬৯২ জন। তার মধ্যে তিন হাজার ২৬৬ জন সুস্থ হয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায়।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy