Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

পাওনা না মিটিয়ে ঋণের সংস্থান! রাজ্যগুলির সঙ্গে সঙ্ঘাত বাড়তে পারে কেন্দ্রের

এত দিন পর্যন্ত রাজ্যগুলি তাদের জিডিপি-র (জিএসডিপি) তিন শতাংশ ঋণ নিতে পারত। এখন সেই হার বাড়িয়ে পাঁচ শতাংশ করা হয়েছে।

সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যগুলিকে আরও বেশি ঋণের সংস্থার করার ঘোষণা নির্মলা সীতারামনের। রবিবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই

সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যগুলিকে আরও বেশি ঋণের সংস্থার করার ঘোষণা নির্মলা সীতারামনের। রবিবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২০ ১৮:০৯
Share: Save:

করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গ-সহ বহু রাজ্য কেন্দ্রের কাছে আর্থিক প্যাকেজের আর্জি জানিয়েছে। সেটা না হলেও অন্তত কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের পাওনা মিটিয়ে দেওয়া হোক, সেই দাবি জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি কেন্দ্র। এমনকি, কিন্তু ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজের মধ্যেও রাজ্যগুলির জন্য কোনও অনুদান নেই। উল্টে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্পের পঞ্চম তথা শেষ কিস্তিতে রাজ্যকে আরও বেশি ঋণের সংস্থান করে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন

এত দিন পর্যন্ত রাজ্যগুলি তাদের জিডিপি-র (জিএসডিপি) তিন শতাংশ ঋণ নিতে পারত। এখন সেই হার বাড়িয়ে পাঁচ শতাংশ করা হয়েছে। অর্থাৎ জিএসডিপি-র পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে রাজ্যগুলি। অর্থমন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘সরকার রাজ্যগুলির ঋণ নেওয়ার পরিমাণ তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে অতিরিক্ত ৪.২৮ লক্ষ কোটি রাজ্যগুলি হাতে পাবে।’’

২০ লক্ষ কোটির প্যাকেজের মধ্যে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অতিক্ষুদ্র শিল্পক্ষেত্র হোক, ক্ষুদ্র কৃষক, কিংবা হকার-ফুটপাথের দোকানদার— অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঋণের সংস্থান করেছেন অর্থমন্ত্রী। রাজ্যগুলির ক্ষেত্রেও সেই পথে হেঁটে শুধু ধার নেওয়ার পরিমাণই নয়, ওভারড্রাফ্টের ক্ষেত্রেও মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছেন। বর্তমান নিয়মে কোনও রাজ্য ওভারড্রাফ্ট রাখতে পারে সর্বোচ্চ ১৪ দিনের জন্য। এবং একটি ত্রৈমাসিকে সর্বোচ্চ ৩২ দিন রাখা যায় ওভারড্রাফ্ট। এই দুই মেয়াদই বাড়িয়ে প্রথম ক্ষেত্রে ২১ দিন এবং দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ৫১ দিন করা হয়েছে।

আরও পডু়ন: দেশের সর্বক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগের দরজা খুলে দিলেন নির্মলা

তবে নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, ‘‘বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য প্রাথমিক ভাবে ১১ হাজার ৯২ কোটি টাকা রাজ্যগুলির জন্য এপ্রিলের গোড়াতেই অগ্রিম দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্মলা সীতারামন। এ ছাড়া স্বাস্থ্যমন্ত্রকও ৪১১৩ কোটি টাকা দিয়েছে করোনার মোকাবিলার জন্য। বাজেট বরাদ্দ থেকেও দেওয়া হয়েছে ৪৬ হাজার ৩৮ কোটি টাকা।’’

আরও পড়ুন: চালু হবে মেট্রো পরিষেবা? খুলবে মল? চতুর্থ দফার লকডাউন নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে

করোনাভাইরাস ও লকডাউন পরিস্থিতি নিয়ে যত বার প্রধামন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন, প্রতিবারই মুখ্যমন্ত্রীরা তাঁদের পাওনা মেটানো এবং আর্থিক প্যাকেজ দাবি করেছেন অধিকাংশ মুখ্যমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রীও এ দিন বলেছেন, ‘‘রাজ্যগুলি অনেক দিন ধরেই আর্থিক সাহায্যের আর্জি জানাচ্ছেন।’’ কিন্তু স্বীকার করার পরেও সেই দাবি না মিটিয়ে এ ভাবে ঋণের বন্দোবস্ত করা নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলির সঙ্ঘাত আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy