ছবি: পিটিআই।
দফায় দফায় লকডাউনের মধ্যে অনেকেই ঘরবন্দিদশার সময়সীমার পরে সফরের জন্য বিমানের টিকিট কেটেছিলেন। খাতায়-কলমে তার দাম ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হলেও বহু যাত্রী তা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় লকডাউন মিটে গেলে টিকিটের টাকা ফেরত পেতে যাত্রীরা আদালতে যেতে পারেন বলে রবিবার ফেসবুক লাইভ মিটিংয়ে বসে হুমকি দিলেন ভারতের বিমানযাত্রী সংগঠনের সভাপতি সুধাকর রেড্ডি।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন বা ডিজিসিএ রবিবার বিকেলে এক নির্দেশিকায় জানিয়ে দিয়েছে, ৩ মে (আপাতত লকডাউনের শেষ দিন) পর্যন্ত পরবর্তী কোনও তারিখের কোনও উড়ানের টিকিট বিক্রি করা যাবে না। বিস্তারা, এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়ার মতো কিছু উড়ান সংস্থা রাতে জানায়, এমন কোনও নির্দেশিকা তাদের কাছে পৌঁছয়নি।
২৪ মার্চের পর থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ উড়ান বন্ধ। আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ তার দু’দিন আগে থেকে। সেই থেকে ৩ মে পর্যন্ত যাঁরা টিকিট কেটেছিলেন, তাঁরা টাকা ফেরত চাইলে বলা হচ্ছে, তাঁদের টাকা উড়ান সংস্থার কাছে গচ্ছিত থাকবে। পরে এক বছরের মধ্যে তাঁরা সেই টাকায় টিকিট কাটতে পারবেন। বিমান মন্ত্রকের প্রাক্তন উপদেষ্টা রেণু পারমার মনে করেন, এটা যাত্রীদের ইচ্ছার উপরে নির্ভর করা উচিত ছিল। যিনি পুরো টাকা ফেরত চাইবেন, তিনি তা পেয়ে যাবেন। যিনি গচ্ছিত রাখবেন, তাঁকে সেই সুবিধা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: লকডাউন কি বাড়বে? আংশিক ছাড়ের ফলাফলেই মিলবে জবাব
অভিযোগ, প্রথম লকডাউন ঘোষণার পরে ১৫ এপ্রিল থেকে এবং এখন আবার ৪ মে থেকে টিকিট বিক্রি করে উড়ান সংস্থাগুলি কয়েক হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। শনিবার বিমানমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী জানান, কেন্দ্র লকডাউন তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করার আগে নতুন করে টিকিট বিক্রি করা যাবে না। যাত্রীদের একাংশের প্রশ্ন, উড়ান সংস্থা কয়েক হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়ার পরে এই ঘোষণা কেন করা হল?
আরও পড়ুন: সার্ক দেশে কেন ‘মন্থর’ করোনা? গবেষণার ডাক বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্টে
বিমান মন্ত্রক একটি নির্দেশিকায় জানিয়েছে, প্রথম লকডাউনের মধ্যে কাটা দ্বিতীয় লকডাউনের সময়কার টিকিটের পুরো টাকা ফেরত দিতে হবে। প্রশ্ন উঠছে, তাতে তুলে নেওয়া হাজার হাজার কোটি টাকার মধ্যে কতটুটুই বা ফেরত দিতে হবে উড়ান সংস্থাগুলিকে? ধুঁকতে থাকা উড়ান সংস্থাগুলি যাতে বেঁচে থাকে, সেই জন্যই কি সরকার ইচ্ছে করে মুখ বুজে থেকে টিকিট বিক্রির সুযোগ দিল?
অভিযোগ, এখনও অনেক উড়ান সংস্থা বলছে, টাকা ফেরতের কোনও নির্দেশ তাদের কাছে নেই। পারমারের বক্তব্য, অনেকে সপরিবার ভ্রমণের টিকিট কেটেছিলেন। কিন্তু তাঁরা এক বছরের মধ্যে আদৌ যেতে পারবেন কি না সন্দেহ। এখন সেই টাকা ফেরত পেলে তাঁদের সুবিধা হত।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy