হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা শিথিল ভারতের। ছবি: এপি
হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন না পেলে ভারতকে ফল ভুগতে হবে বলে সোমবার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে, মঙ্গলবার হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রফতানি নিয়ে আগের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এল নয়াদিল্লি। করোনার মতো অতিমারিতে যে সব দেশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের ওই ওষুধ সরবরাহ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ দিন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন, ভারত সবসময়েই আন্তর্জাতিক সংহতি ও সহযোগিতার কথা বলে এসেছে। তাঁর মতে, ‘‘এই অতিমারির সময়ে মানবতার কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ভারত প্যারাসিটামল এবং হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের মতো ওষুধ যথাযথ পরিমাণে আমাদের প্রতিটি প্রতিবেশী দেশকে সরবরাহ করা হবে যারা আমাদের দিকে চেয়ে রয়েছে। যে সব দেশ করোনায় দারুণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানেও আমরা এই প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করব।’’ আমেরিকায় এই মুহূর্তে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে তিন লক্ষ ছাড়িয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের ওই মুখপাত্র হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার বিষয়টি রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে না দেখার কথাও জানিয়েছেন।
বিশ্বের কোনও দেশেই হাইড্রক্লিক্লোরোকুইন রফতানি করা যাবে না বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ভারত। কিন্তু তার পরই ওই ওষুধ দেওয়ার অনুরোধ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্যেই সোমবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প বলে বসেন, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন না পেলে তার ফল ভারতকে ভুগতে হবে। যদিও তার আগে থেকেই করোনা যে সব দেশে জোরাল প্রভাব ফেলেছে সেখানে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রফতানি করার পথ খুঁজছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য, বাণিজ্য ও বিদেশমন্ত্রক। এ দিন সেই সিদ্ধান্তই ঘোষণা করা হল নয়াদিল্লির তরফে। কারণ, কূটনৈতিক মহলের একাংশের মত, ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি বৃহত্তর প্রেক্ষিত রয়েছে। এছাড়া, গত ২৯ মার্চ করোনা মোকাবিলায় ভারতকে ২৯ লক্ষ ডলার সাহায্য করার ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুন: হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন না দিলে ‘ফল’ ভুগতে হবে, ভারতকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
বিশ্ব জুড়ে সঙ্কট ও মানবাধিকারের জায়গা থেকেই গত ২৫ মার্চ এই ওষুধটি রফতানিতে আংশিক ছাড় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দেশের পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে উঠলে গত ৪ এপ্রিল ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কারণ এর আগে, সার্বিয়াকে দস্তানা রফতানির অনুমতি দিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় মোদী সরকারকে।
আরও পড়ুন: ‘মজুত বুঝে’ ট্রাম্পকে ওষুধ জোগানোর চেষ্টা
দেশে চাহিদা অনুযায়ী জোগান না-থাকায় সদ্যই দু’টি সংস্থাকে জরুরি ভিত্তিতে মোট ১০ হাজার কোটি হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট সরবরাহের বরাত দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। ভারতে প্রতি মাসে মোট ২০ কোটি ট্যাবলেট তৈরি করা সম্ভব।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy