চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তায় অর্ডিন্যান্স জারি কেন্দ্রের। ছবি: এএফপি।
করোনা পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হিংসার ঘটনা সামনে এনেছে। তা রুখতে এ বার মহামারি সংশোধনী অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স) ২০২০ জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। এর আওতায় চিকিৎসকদের উপর হামলার ঘটনা এ বার থেকে জামিনযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে। অপরাধ প্রমাণ হলে সাত বছর পর্যন্ত হাজতবাস হতে পারে অপরাধীর। সেইসঙ্গে মোটা টাকা জরিমানাও দিতে হবে।
চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় এ দিনই টুইটারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দুপুরে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকেও এ দিন চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। তার পরই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই অধ্যাদেশ জারি করা হয়। জানিয়ে দেওয়া হয় কোনও পরিস্থিতিতেই চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করবে না কেন্দ্রীয় সরকার।
এ দিন সংবাদমাধ্যমে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, ‘‘কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে সামনে থেকে লড়াই করার জন্য গোটা দেশ যখন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সেলাম জানাচ্ছে, তখন তাঁদের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ভেবে কিছু লোক হিংসার আশ্রয় নিচ্ছেন। সভ্য সমাজে হিংসার কোনও জায়গা নেই। অপরাধের পরিমাণ কম হলে ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। অপরাধ গুরুতর হলে, হামলায় কেউ জখম হলে, জরিমানা করা হবে ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।’’
আরও পড়ুন: পরিস্থিতির উন্নতি? দেশে করোনা মুক্ত জেলার সংখ্যা বেড়ে ৩৫৯
আরও পড়ুন: সঙ্ঘাত তো শেষ কালই, আজও কেন ঘরে বসে কেন্দ্রীয় দল?
লঘু অপরাধের ক্ষেত্রে ৬ মাস থেকে ৫ বছর পর্যন্ত এবং অপরাধ গুরুতর হলে ৭ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে বলেও জানান জাভড়েকর। এর পাশাপাশি এ দিন মহামারি আইনটিকে কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ তালিকাভুক্ত আইনেও পরিণত করা হয়, যাতে মহামারি পরিস্থিতি দেখা দিলে প্রয়োজন মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। সড়ক, রেল, সমুদ্রপথ এবং আকাশ পথে যান চলাচল নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা যায়।
The Epidemic Diseases (Amendment) Ordinance, 2020 manifests our commitment to protect each and every healthcare worker who is bravely battling COVID-19 on the frontline.
— Narendra Modi (@narendramodi) April 22, 2020
It will ensure safety of our professionals. There can be no compromise on their safety!
প্রধানমন্ত্রীর টুইট।
অধ্যাদেশটি জারি হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইটারে লেখেন, ‘‘সামনে থেকে কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছেন যে সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী, তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার। মহামারি সংশোধনী অধ্যাদেশ ২০২০ সরকারের সেই অবস্থানকেই প্রতিফলিত করছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না।’’
PM @narendramodi’s govt is committed to protecting those who are protecting India during these challenging times.
— Amit Shah (@AmitShah) April 22, 2020
Bringing an ordinance to end violence against our doctors & health workers is a testimony of the same. This will go a long way in assuring their safety and dignity.
অমিত শাহের টুইট।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইটারে লেখেন, ‘‘এই দুঃসময়ে গোটা ভারতকে যাঁরা আগলে রেখেছেন, নরেন্দ্র মোদীর সরকার তাঁদের নিরাপত্তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হিংসা রুখতে তাই এই অধ্যাদেশ আনা হয়েছে। ভবিষ্যতেও চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় সহায়ক হবে।’’
দেশের মহামারি সংশোধনী আইনটি ১২০ বছর পুরনো। নয়া অর্ডিন্যান্সে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী এবং সহায়িকা এবং আশাকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার কথা বলে হয়েছে। সেই সঙ্গে এ বার তাঁদের অতিরিক্ত বিমার আওতায়ও নিয়ে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
( অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy