Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus in India

দু’সপ্তাহেই করোনা-আক্রান্ত ১ লক্ষ, উদ্বেগ লকডাউনের নিয়ম শিথিলে

স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রায় ৮,৯০৯ জন রোগী সংক্রমিত হয়েছেন, যা ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ সর্বোচ্চ।

বিশাল সংখ্যক রোগী থেকে সংক্রমণ আরও বড় আকারে ছড়াতে চলেছে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।

বিশাল সংখ্যক রোগী থেকে সংক্রমণ আরও বড় আকারে ছড়াতে চলেছে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২০ ০৪:৩৪
Share: Save:

সময় লাগল সাড়ে ১৪ দিন। প্রথম ১ লক্ষ রোগীর সংখ্যা ছুঁতে যেখানে ১১০ দিন সময় লেগেছিল, সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক থেকে দু’লক্ষে পৌঁছতে সময় লাগল মাত্র দু’সপ্তাহ।

যে-হেতু সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে, তাই ওই বিশাল সংখ্যক রোগী থেকে সংক্রমণ আরও বড় আকারে ছড়াতে চলেছে বলেই আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। লকডাউন ক্রমশ শিথিল হওয়ায় সংক্রমণ রোখা যে কঠিন, তা স্বীকার করে নিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রায় ৮,৯০৯ জন রোগী সংক্রমিত হয়েছেন, যা ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ সর্বোচ্চ। এর ফলে দেশে সংক্রমিতের সংখ্যা ২,০৭,৬১৫। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এঁদের মধ্যে চিকিৎসাধীন ১,০১,৪৯৭ জন। আর ১,০০,৩০২ জন সুস্থ হয়েছেন।

মন্ত্রকের এক কর্তার মতে, ইতিবাচক দিক হল, আক্রান্তদের মধ্যে অর্ধেকের থেকে সামান্য কম সুস্থ হয়েছেন। যত দিন যাবে, সুস্থের সংখ্যা বাড়বে। তবে এখন কেন্দ্রের লক্ষ্য, সংক্রমণ কমানো। সেই কারণে কনটেনমেন্ট জোনে নজরদারি, পরিযায়ী শ্রমিকদের আরও পরীক্ষা করায় জোর দেওয়া হয়েছে। রাজ্যগুলিকে নতুন জায়গায় সংক্রমণ ছড়ানো আটকাতে হবে।

আরও পড়ুন: গুরুতর কোভিড আক্রান্তদের উপর রেমডেসিভির প্রয়োগে সায় ভারতের

আরও পড়ুন: ইন্ডিয়া না ভারত, দেশের নামবদলে হস্তক্ষেপ করতে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট

এ দিকে, গত এক দিনে করোনা সংক্রমণের কারণে মারা গিয়েছেন ২১৭ জন। যার ফলে দেশে করোনার মৃতের সংখ্যা ৫,৮১৫। মৃতদের মধ্যে ৭৩ শতাংশ কিডনি, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন। অধিকাংশের বয়স ষাটের বেশি। ফলে ষাটোর্ধ্বদের যথাসম্ভব বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus in India Coronavirus COVID-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE