ছবি: এএফপি।
রাশিয়ার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন ‘স্পুটনিক ভি’-এর ভারতে উৎপাদন ও ব্যবহার নিয়ে আলোচনা শুরু করল দুই দেশ।
গত ১১ অগস্ট করোনার টিকা আবিষ্কারের ঘোষণা করে সকলকে চমকে দেয় ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ। সে দেশে ওই প্রতিষেধকটি আবিষ্কার করেছে গামালেয়া সায়েন্টিফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব এপিডিমিয়োলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি এবং রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড। গোড়া থেকেই ভারতের বাজার ধরার ইঙ্গিত দিয়ে এসেছে রাশিয়া। ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের সিইও কিরিল দিমিত্রিয়েভ বলেছিলেন, কোভিডের প্রতিষেধক উৎপাদনের জন্য রাশিয়া ভারতের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে আগ্রহী। এ-ও জানান, স্পুটনিক-ভি তৈরিতে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের হাতই ধরতে চায় রাশিয়া।
সূত্রের খবর, করোনার প্রতিষেধক উৎপাদন নিয়ে ভারতের রুশ দূতাবাসের প্রতিনিধিরা আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে এক প্রস্ত বৈঠক করেছেন। রুশ রাষ্ট্রদূত নিকোলাই কুদাশেভ নিজে ভারত সরকারের মুখ্য বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা কে বিজয়রাঘবন, জৈবপ্রযুক্তি দফতরের সচিব রাণু স্বরূপ এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর ডিজি বলরাম ভার্গবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় সুস্থ সাড়ে ৬৬ হাজার
আরও পড়ুন: বাইরে থেকে এলে যত্নে কোভিড পরীক্ষা অসমে
এক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যকর্তার মতে, প্রচুর পরিমাণে প্রতিষেধক তৈরি তথা ভারত-সহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজার ধরার লক্ষ্যে সিরাম কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলেছেন রুশ অফিসারেরা। এশিয়ার পাশাপাশি লাতিন আমেরিকাতেও নিজেদের টিকা পৌঁছে দিতে আগ্রহী পুতিন। আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাপ্তাহিক সাংবাদিক বৈঠকে রুশ টিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ জানান, এ নিয়ে দুই দেশ আলোচনা চালাচ্ছে। দু’পক্ষের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের কিছু তথ্য আদানপ্রদান হয়েছে। রাশিয়ার কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে, যা এখনও আসেনি।
রাশিয়া প্রতিষেধক আবিষ্কারের দাবি করলেও আন্তর্জাতিক মহলে অভিযোগ, দ্রুত প্রতিষেধক বাজারে ছাড়তে গিয়ে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা কার্যত এড়িয়ে গিয়েছে তারা। সেই কারণে ওই প্রতিষেধক নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থারও। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, সেই কারণেই কোনও ঝুঁকি না-নিয়ে ওই টিকার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে মস্কোর কাছে। তার পরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ভারতে এই মুহূর্তে মোট ছ’টি টিকা তৈরির কাজ বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে বলে দাবি করেছেন বলরাম ভার্গব। তিনি জানান, তিনটি টিকার প্রয়োগ খুব দ্রুত শুরু হবে। অন্য তিনটি টিকা মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকার দ্বিতীয়/তৃতীয় ধাপ শুরু হয়েছে (দ্রুত টিকার প্রয়োজন রয়েছে বলে অনেক ক্ষেত্রেই দু’টি পর্যায়ের পরীক্ষা একসঙ্গে চালানো হচ্ছে। তাই ‘দ্বিতীয়/তৃতীয়’)। সিরাম ইনস্টিটিউট এই পরীক্ষা করছে প্রায় ১৭০০ স্বেচ্ছাসেবকের উপরে। এ ছাড়া ভারত বায়োটেক ৩৭৫ জনের উপরে প্রথম ধাপের পরীক্ষা শেষ করে দ্বিতীয় ধাপ শুরু করবে। জ়াইডাস ক্যাডিলা প্রায় পঞ্চাশ জনকে নিয়ে প্রথম পর্বের পরীক্ষা শেষ করেছে। তারাও খুব দ্রুত দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষা শুরু করতে চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy