প্রতীকী ছবি।
পিএম-কেয়ার্স তহবিল নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণের মুখে তার টাকা বিহারে দু’টি কোভিড হাসপাতালে কাজে লাগানোর কথা জানাল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। কিন্তু তাতে বিরোধীদের কটাক্ষ, একে তো চাপের মুখে বাধ্য হয়ে টাকা দেওয়ার ঘোষণা। তা-ও আবার রাজনীতির অঙ্ক কষে ভোটমুখী বিহারে!
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর দফতরের টুইট, বিহারের পটনা এবং মুজ়ফফরপুরে ৫০০ শয্যার দু’টি অস্থায়ী কোভিড হাসপাতাল তৈরির কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিএম-কেয়ার্স তহবিলের অছি পরিষদ। এর মধ্যে পটনার হাসপাতালটির উদ্বোধন এ দিনই। শীঘ্রই দরজা খুলবে মুজ়ফফরপুরের হাসপাতালটিরও। দাবি, দু’টি হাসপাতালেই ভেন্টিলেটর-সহ ১২৫টি করে আইসিইউ বেড থাকবে। সাধারণ বেড ৩৭৫টি।
ওই তহবিলে এখনই সিএজি-র অডিটের আর্জি সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে ঠিকই। কিন্তু তার পরেও ওই তহবিল থেকে টাকার নয়ছয় নিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করে যাচ্ছেন বিরোধীরা। এ দিনও তহবিলের নাম উল্লেখ এড়িয়ে মোদীকে বিঁধেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে শনিবার কংগ্রেস নেতা রণদীপসিংহ সুরজেওয়ালা টুইট করেছিলেন, “জানেন কি পিএম-কেয়ার্স তহবিল নিয়ে প্রশ্ন তোলা দেশবিরোধী কাজ? যদিও (সেখান থেকে) জনগণের টাকায় কেনা ভেন্টিলেটর কাজ করছে না ঠিক ভাবে।” সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরিরও অভিযোগ, পিএম-কেয়ার্সের টাকায় যে ভাবে শাসক দলের ঘনিষ্ঠ সংস্থার কাছ থেকে খারাপ মানের ভেন্টিলেটর কেনা হয়েছে, তা দুর্নীতিই। বিরোধীদের দাবি, অস্বস্তিতে পড়েই তড়িঘড়ি কোভিড হাসপাতালে টাকা দেওয়ার এই ঘোষণা।
আরও পড়ুন: টিকা তৈরিতেও আত্মনির্ভরতার ভাবনা কেন্দ্রের
আরও পড়ুন: প্রয়োজনে সামরিক পদক্ষেপ লাদাখে, মন্তব্য রাওয়তের
তবে এর মধ্যেও অভিযোগ উঠেছে ভোট-রাজনীতির। বিরোধীদের অভিযোগ, বিহারে ভোটের কথা মাথায় রেখেই পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজ দেওয়ার প্রকল্পের সূচনা সেখান থেকে করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। চিনের সঙ্গে লাদাখ সীমান্তে সংঘাতের সময়ে আলাদা ভাবে বিহার রেজিমেন্টের কথা বলে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বিহারি জাত্যাভিমানকে। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যু-তদন্তকেও বিহারে রাজনৈতিক রং দেওয়ার চেষ্টা
করছে বিজেপি। এর পরে এ বার পিএম-কেয়ার্স তহবিলের টাকায় দুই কোভিড হাসপাতালও বিহারে! তা-ও সেই দিনে, যে দিন নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে জোট বেঁধে ভোটে লড়ার কথা জোর গলায় বলেছেন বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীর নামে সংগৃহীত জনগণের টাকা এ ভাবে ভোটের জল মেপে খরচ করা উচিত কি না, উঠছে সেই প্রশ্নও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy