Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
covid-19

১৩ দিন পরেই ফের করোনা আক্রান্ত

গত সোমবার কাজে যোগ দেন কালাইন হাসপাতালের ওই চিকিৎসক। রাতেই শরীরে ব্যথা অনুভব করেন। জ্বর আসে। করোনা তাঁকে ছেড়ে যায়নি বুঝতে পেরে তিনি নিজেকে হোম কোয়রান্টিনেই রাখেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি ও শিলচর শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২০ ০২:৩০
Share: Save:

ভাবা হচ্ছিল এক বার করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হলে, অ্যান্টিবডি তৈরি হলে, তাঁর ফের করোনা হওয়ার সম্ভাবনা কম। কিন্তু তেমনটাই ঘটল।

মাত্র ১৩ দিনের মাথায় দ্বিতীয় বার করোনায় আক্রান্ত হলেন অসমের কাছাড়ের এক চিকিৎসক। ৭ অগস্ট তাঁকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজের কোভিড ব্লক থেকে ছাড়া হয়েছিল। দশ দিন ছিলেন হোম কোয়রান্টিনে। গত সোমবার কাজে যোগ দেন কালাইন হাসপাতালের ওই চিকিৎসক। রাতেই শরীরে ব্যথা অনুভব করেন। জ্বর আসে। করোনা তাঁকে ছেড়ে যায়নি বুঝতে পেরে তিনি নিজেকে হোম কোয়রান্টিনেই রাখেন। কিন্তু সমস্যা বেড়ে চলায় আজ আসেন মেডিক্যাল কলেজে। পরীক্ষা করে ধরা পড়ে, তিনি সত্যিই ফের কোভিড পজ়িটিভ৷

কলেজের উপাধ্যক্ষ ভাস্কর গুপ্ত অবশ্য একে করোনার ফিরে আসা বলতে নারাজ। তাঁর কথায়, ৬ অগস্ট হয়তো তাঁর সংক্রমণ মাত্রাটা অত্যন্ত কম ছিল। তাই র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে নেগেটিভ আসে। পরে ওই চিকিৎসক সম্ভবত শারীরিক বা মানসিক চাপ নিয়েছেন। তাতে উপসর্গ প্রকট হয়ে ওঠে।

বরাক উপত্যকায় এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম। করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এখন করোনা রোগীদের ১৪ দিনের বদলে ১০ দিন হাসপাতালে রাখছে। আগে তিন বার পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এলে তবেই রোগীকে ছাড়া হত। এখন মাত্র এক বার র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করেই রোগীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আরটি-পিসিআরের নমুনাও সংগ্রহ করা হচ্ছে না। ফলে বাড়ছে আপাত ভাবে সুস্থ হওয়া রোগীর ফের পজ়িটিভ হওয়ার ঘটনা।

এ দিকে ধেমাজি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ র‌্যাপিড করোনা পরীক্ষা অভিযান শুরু করেছে। প্রথম দিনেই পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা গেল খোদ জেলাশাসক নরসিংহ পাওয়ার ও সহকারী জেলাশাসক ভারত স্বরাজ কোভিডে আক্রান্ত। তেমন উপসর্গ না থাকায় তাঁরা বুঝতেই পারেননি। তাঁরা আপতত সার্কিট হাউসে হোম কোয়রান্টিনে আছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় অসমে করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ১০ জন মারা গেলেন। আজ সকাল পর্যন্ত রাজ্যে মৃতের সংখ্যা ২১৩ জন।

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

অন্য বিষয়গুলি:

Corona Assam COVID-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE