ছবি: পিটিআই।
আরও তিনটি মৃত্যু। এ বার তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ ও গুজরাতে। ফলে করোনায় দেশে মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩। যদিও রাত পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেবে মৃতের সংখ্যা ১০ রয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানাচ্ছে, আজ পর্যন্ত ভারতে মোট করোনা-সংক্রমিতের সংখ্যা ৬০৬। ৪২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর হিসেবে সংক্রমণের সংখ্যা অবশ্য ৫৮১। সংক্রমিতের সংখ্যায় মহারাষ্ট্রকে (১২২) ক্রমশ ছুঁয়ে ফেলছে কেরল (১১২)। দিল্লিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
করোনায় গুজরাতে এটি দ্বিতীয় মৃত্যু, তামিলনাড়ু ও মধ্যপ্রদেশে প্রথম। মাদুরাইয়ের রাজাজি হাসপাতালে আজ ভোরে ৫৪ বছরের এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সি বিজয়ভাস্কর জানিয়েছেন, ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও অনিয়মিত হৃৎস্পন্দনের সমস্যা ছিল প্রৌঢ়ের। বিকেলের দিকে মধ্যপ্রদেশের ইনদওরে সরকারি হাসপাতালে মারা যান ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধা। তাঁর বাড়ি উজ্জয়িনীতে। সেখানকার হাসপাতালেই তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা হয়েছিল। রাতে আমদাবাদে ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধা মারা যান। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, সম্প্রতি বিদেশে গিয়েছিলেন বৃদ্ধা। করোনায় লক্ষণ দেখা দেওয়ায় সরকারি হাসপতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। আরও কিছু শারীরিক জটিলতাও ছিল তাঁর।
এ ছাড়া, দিল্লির একটি মৃত্যুর ক্ষেত্রে করোনা-সংক্রমণ সন্দেহ করা হচ্ছিল। কিন্তু মৃত ব্যক্তির করোনা-পরীক্ষার দ্বিতীয় রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। দেশ জুড়ে বিভিন্ন আধাসামরিক বাহিনীর ৩২টি হাসপাতালের প্রায় ১৯০০ শয্যা এবং অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের বিভিন্ন হাসপাতালের ২৮৫টি শয্যা কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা ও আইসোলেশনের জন্য রাখা হচ্ছে। হিমাচলের হামিরপুর জেলা প্রশাসন আইসোলেশন সেন্টার তৈরির জন্য এনআইটি-র ১০টি হস্টেলের ২০০০ ঘর নিয়ে রেখেছে।
অত্যাবশ্যক পণ্যের সরবরাহে টান পড়া নিয়ে কোনও গুজব যাতে না-ছড়ায়, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে তা দেখতে বলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। গত কাল প্রধানমন্ত্রী ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করার পরেই দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু-সহ বিভিন্ন শহরের মুদিখানায় ভিড় জমে। কোথাও কোথাও অতিরিক্ত দাম নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল জানিয়েছেন, মুদি ও আনাজ বিক্রেতাদের জন্য ই-পাসের ব্যবস্থা হচ্ছে। কাজেই আতঙ্কের কারণ নেই। যোগী আদিত্যনাথ একটি হেল্পলাইন নম্বর ঘোষণা করে জানিয়েছেন, সেখানে ফোন করলে ওষুধ-সহ জরুরি জিনিসপত্র বাড়িতে বসেই পাবেন উত্তরপ্রদেশবাসী। গুজরাত ও তামিলনাড়ুতে দেখা গিয়েছে, মাটিতে নির্দিষ্ট দূরত্বে আঁকা দাগের মধ্যে দাঁড়িয়েই জিনিসপত্র কিনছেন মানুষ।
মাদার ডেয়ারি জানিয়েছে, তাদের ফল ও আনাজ বিক্রির ব্র্যান্ড ‘সফল’-এর দোকানগুলি দুপুরে দু’ঘণ্টা বাদে সারা দিন খোলা থাকছে। বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডার নেতৃত্বে একটি বৈঠকে আজ সিদ্ধান্ত হয়েছে, লকডাউনের সময়ে দলের ১ কোটি সদস্যের প্রত্যেকে ৫ জন করে গরিব মানুষের হাতে খাবার তুলে দেবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy