গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
টিকাকরণ ঘিরে প্রস্তুতির মধ্যেই দৈনিক আক্রান্ত ফের নিম্নমুখী দেশে। শনিবারের তুলনায় কমল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। নোভেল করোনাভাইরাসের নতুন প্রকারভেদ (স্ট্রেন)-কে ঘিরে এই মুহূর্তে যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, তাতে ভারতের সুস্থতার হারও যথেষ্ট সন্তোষজনক।
রবিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ১৭৭ জন। গত ১৩ ডিসেম্বরের পর থেকে দেশে দৈনিক আক্রান্ত ৩০ হাজারের নীচেই ঘোরাফেরা করছে। নতুন বছরের শুরুতে সংক্রমণ আরও কমে আশাটা শুভ লক্ষণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত দেশে ১ কোটি ৩ লক্ষ ২৩ হাজার ৯৬৫ জন নোভেল করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই মুহূর্তে দেশে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২ লক্ষ ৪৭ হাজার ২২০। এর মধ্যে কেরলেই সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬০। এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্রে ৫৪ হাজার ২৮৮ জন সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন।
সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত দেশে ১ কোটি ৩ লক্ষ ২৩ হাজার ৯৬৫ জন নোভেল করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই মুহূর্তে দেশে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২ লক্ষ ৪৭ হাজার ২২০। এর মধ্যে কেরলেই সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬০। এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্রে ৫৪ হাজার ২৮৮ জন সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডের প্রকোপে ২১৭ জন রোগী প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রের করোনা রোগী ছিলেন ৫১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে ২৮ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। কেরলে মৃত্যু হয়েছে ২১ জন রোগীর। ১৫ জন করোনা রোগী মারা গিয়েছেন পঞ্জাবে। দিল্লিতে ১৪ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তামিলনাড়ু এবং ছত্তীসগঢ়ে ১১ জন করে করোনা রোগী মারা গিয়েছেন। নোভেল করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৪৩৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
তবে অন্যান্য দেশের তুলনায় এই মুহূর্তে ভারতে সুস্থতার হার যথেষ্ট আশাজনক। মোট আক্রান্তের মধ্যে এখনও পর্যন্ত দেশে ৯৯ লক্ষ ২৭ হাজার ৩১০ জন রোগীই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এই মুহূর্তে দেশে সুস্থতার হার ৯৬.১৬ শতাংশ।
তবে অন্যান্য দেশের তুলনায় এই মুহূর্তে ভারতে সুস্থতার হার যথেষ্ট আশাজনক। মোট আক্রান্তের মধ্যে এখনও পর্যন্ত দেশে ৯৯ লক্ষ ২৭ হাজার ৩১০ জন রোগীই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এই মুহূর্তে দেশে সুস্থতার হার ৯৬.১৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনার নতুন স্ট্রেনের কালচার করে বিশ্বে অনন্য নজির ভারতের
ভারতের সঙ্গে তুলনা করলে, আমেরিকার পরিস্থিতি এখনও যথেষ্টই সঙ্কটজনক। শনিবার সেখানে নতুন করে ২ লক্ষ ৭৩ হাজার ৪৬ মানুষ নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হন। আমেরিকায় মোট সংক্রমণ ইতিমধ্যেই ২ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। বিশ্বতালিকায় এক নম্বরে রযেছে তারা। তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৭ লক্ষ ১৬ হাজার ৪০৫। শনিবার সেখানে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হন ১৫ হাজার ৮২৭ জন।
আরও পড়ুন: শ্বাসকষ্ট নেই, রাতে ঘুমিয়েছেন, আপাতত ভাল আছেন সৌরভ
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy