Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

দেশে ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড মৃত্যু, নতুন করে করোনা আক্রান্ত ৯৮৫১

দেশে মোট কোভিড-১৯ আক্রান্ত ২,২৬,৭৭০। পাশাপাশি নেদারল্যান্ডসকে টপকে মোট মৃত্যুর নিরিখে বিশ্বের দ্বাদশ স্থানে চলে এল ভারত।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ২৭৩ জনের। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ২৭৩ জনের। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২০ ১০:৩০
Share: Save:

প্রতি দিন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যায় তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন রেকর্ড। শুক্রবারও তার ব্যতিক্রম ঘটল না। বৃহস্পতিবার বেড়েছিল ন’হাজার ৩০৪ জন। শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ন’হাজার ৮৫১ জন। এক দিনে এত সংখ্যক মানুষ এর আগে সংক্রমিত হননি। এই বৃদ্ধির জেরে দেশে মোট কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলেন দু’লক্ষ ২৬ হাজার ৭৭০ জন।

শুধু সংক্রমণ বৃদ্ধি নয়। করোনার জেরে রোজ মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধিও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া হিসাবে, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৭৩ জনের। যা এক দিনে মৃত্যুর নিরিখে সর্বোচ্চ। এই নিয়ে করোনার থাবায় প্রাণ হারালেন মোট ছ’হাজার ৩৪৮ জন। এই বৃদ্ধির জেরে নেদারল্যান্ডসকে টপকে মোট মৃত্যুর নিরিখে বিশ্বের দ্বাদশ স্থানে চলে এল ভারত। করোনার জেরে দেশে সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্রে। এখনও অবধি দু’হাজার ৭১০ জন মারা গিয়েছেন সেখানে। এর পরই রয়েছে গুজরাত। সেখানে মারা গিয়েছেন এক হাজার ১৫৫ জন। রাজধানী দিল্লিতে ৬৫০ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এর পর রয়েছে মধ্যপ্রদেশ (৩৭৭) ও পশ্চিমবঙ্গ (৩৫৫)। শতাধিক মৃত্যুর তালিকায় রয়েছে উত্তরপ্রদেশ (২৪৫), তামিলনাড়ু (২২০), রাজস্থান (২১৩) ও তেলঙ্গানা (১০৫)।

দেশে সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। তার পরই তামিলনাড়ু, দিল্লি ও গুজরাত। প্রায় দেড় লাখ আক্রান্ত রয়েছে এই চারটি রাজ্য থেকে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় তিন হাজার জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন মহারাষ্ট্রে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ৭৭ হাজার ৭৯৩ জন। তামিলনাড়ুতে মোট আক্রান্ত ২৭ হাজার ২৫৬ জন। এর পরই রয়েছে রাজধানী দিল্লি। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজার চার জন। গুজরাতে ১৮ হাজার ৫৮৪ জন। এর পর ক্রমান্বয়ে রয়েছে রাজস্থান (৯,৮৬২), উত্তরপ্রদেশ (৯,২৩৭), মধ্যপ্রদেশ (৮,৭৬২), পশ্চিমবঙ্গ (৬,৮৭৬), বিহার (৪,৪৯৩), কর্নাটক (৪,৩২০), অন্ধ্রপ্রদেশ (৪,২২৩), হরিয়ানা (৩,২৮১), তেলঙ্গানা (৩,১৪৭), জম্ম ও কাশ্মীর (৩,১৪২), ওড়িশা (২,৪৭৮), পঞ্জাব (২,৪১৫), অসম (১,৯৮৮), কেরল (১,৫৮৮) ও উত্তরাখণ্ড (১,১৫৩)-র মতো রাজ্যগুলি।

আরও পড়ুন: কন্টেনমেন্ট জ়োনের বাইরে রেস্তরাঁ, ধর্মস্থান, হোটেল খোলার নির্দেশ

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

কলকাতা, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা ছাড়িয়ে অন্যান্য জেলাগুলিতে সংক্রমণ বৃদ্ধিতে চিন্তা বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গের। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬৮ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এ রাজ্যে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত হলেন ছ’হাজার ৮৭৬ জন। করোনার কারণে এ রাজ্যে এখনও অবধি মৃত্যু হয়েছে ৩৫৫ জনের। যদিও রাজ্য সরকারের বুলেটিন অনুসারে, রাজ্যে ২৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে সরাসরি করোনার কারণে। বাকি ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে কোমর্বিডিটিতে।

আরও পড়ুন: ১৯ চিকিৎসক, ৩৮ নার্স-সহ ৪৮০ জন করোনায় আক্রান্ত দিল্লির এমসে

দেশে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়লেও, সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাটাও লাখ ছাড়িয়েছে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এটাই আশার আলো। দেশে এখনও অবধি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক লক্ষ ন’হাজার ৪৬২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন পাঁচ হাজার ৩৫৫ জন।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus COVID-19 Coronavirus in India
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE