প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পরামর্শদাতা কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত হলেন সাধ্বী প্রজ্ঞা। গ্রাফিক: তিয়াসা দাস
মালেগাঁও বিস্ফোরণে ২১ অভিযুক্তের মধ্যে তাঁর নাম ১৪ নম্বরে। অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা রয়েছে। আপাতত জামিনে মুক্ত রয়েছেন। কিন্তু সেই সাধ্বী প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুরকেই প্রতিরক্ষা বিষয়ক পরামর্শদাতা কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করল কেন্দ্র। স্বাভাবিক ভাবেই বিতর্কিত এই সাংসদের প্রতিরক্ষার মতো স্পর্শকাতর মন্ত্রকের উপদেষ্টা কমিটিতে অন্তর্ভুক্তি ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিরোধীরাও সরব। কংগ্রেসের তোপ, ‘এটা গোটা সামরিক বাহিনীর অপমান’।
এই পরামর্শদাতা কমিটির সদস্য নির্বাচন ও নিয়োগ সরাসরি সংসদ করে না। সেই কাজ করে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রক। কমিটির সদস্যরা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে সেই মতো মন্ত্রককে পরামর্শ দেয়। পাশাপাশি কোনও সুপারিশও করতে পারে। কিন্তু সেই পরামর্শ বা সুপারিশ কার্যকর করতেই হবে, এমন নিয়ম নেই। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সেগুলি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। গত ৩১ অক্টোবর এই কমিটিতেই নতুন সদস্য হিসেবে সাধ্বী প্রজ্ঞার নাম বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায় কেন্দ্র। কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা। তিনি আবার ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর থেকেই গৃহবন্দি। ফলে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেও দেখা যায়নি তাঁকে।
কিন্তু ভোপালের সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞাকে এই কমিটিতে নেওয়ায় বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। দলের পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, ‘জঙ্গিহানায় অভিযুক্ত ও গডসের ভক্তকে সরকার প্রতিরক্ষার মতো প্যানেলে রেখেছে। এটা দেশের সামরিক বাহিনীর, সম্মানীয় সাংসদদের এবং প্রতিটি ভারতীয়ের অপমান।’
কংগ্রেস নেতা প্রণব ঝা বলেন, ‘‘যাঁর বিরুদ্ধে আদালতে এমন মামলা চলছে, তাঁকে কমিটিতে আনা গণতন্ত্রের পক্ষে ভাল নয়। সংবিধান সব কিছু বলে দেয় না, কিছু সিদ্ধান্ত মানবিকতার দিক থেকেও নিতে হয়।’’ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শুক্রবার, জানাল কংগ্রেস
আরও পড়ুন: রতন টাটার কাছ থেকে সরাসরি ফোন, সঙ্গে চাকরির প্রস্তাব!
২০০৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মালেগাঁওয়ে বাইকে রাখা বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন শতাধিক। সেই বিস্ফোরণ-কাণ্ডেই অন্যতম অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞা। অস্ত্র ও বিস্ফোরক রাখার অভিযোগে মামলা হলেও বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত রয়েছেন। শুধু তাই নয়, মাঝেমধ্যেই আপত্তিকর মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন। লোকসভা ভোটের মুখে নাথুরাম গডসেকে ‘দেশপ্রেমিক’ বলে বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন। আবার জেতার পরেও বলেছেন, ‘নর্দমা-বাথরুম পরিষ্কার করার জন্য আমরা নির্বাচিত হইনি।’ তবে, বিজেপি বা কেন্দ্রের তরফে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy