গাঁধীর সঙ্গে জিন্নার ছবি প্রদর্শিত হওয়াতেই আপত্তি বিজেপির। ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ।
গাঁধী জয়ন্তী পালন করার জন্য ছবি প্রদর্শনী। আর সেখানে গাঁধীর সঙ্গে প্রদর্শিত হল পাকিস্তানের রূপকার এবং দ্বিজাতি তত্ত্বের প্রবর্তক মহম্মদ আলি জিন্নার ছবি। তাই নিয়েই এখন শোরগোল আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে। কী ভাবে জিন্নার ছবি প্রদর্শিত হল, তাই নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই জিন্নার ছবি প্রদর্শনী থেকে সরিয়ে নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি কারণ দর্শানোর নোটিস জারি করা হয়েছে গ্রন্থাগারিকের বিরুদ্ধে। তিনিই ছিলেন এই প্রদর্শনীর কিউরেটর। তাঁর চোখ এড়িয়ে কী ভাবে এই ছবি প্রদর্শনীতে ব্যবহার করা হল, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে প্রথম হইচই শুরু করেন বিজেপি সাংসদ সতীশ গৌতম। গাঁধী আর জিন্না, দু’জনেই একসঙ্গে আছেন, এই রকম কিছু ছবি প্রদর্শনী থেকে সরিয়ে দেবার দাবি তোলেন তিনি। এর পরেই আসরে নামেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার সঙ্গে ঐতিহাসিক এস-৪০০ প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করল ভারত
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে মুখপাত্র শফি কিদওয়াই বলেছেন, ‘‘ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনও অহেতুক বিতর্ক চায় না। পঠনপাঠনের সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখাই আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য।’’
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগেও জিন্না নিয়ে বিতর্ক সামনে এসেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদের কক্ষে জিন্নার ছবি রাখা নিয়ে উত্তাল হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর।
আরও পড়ুন: অচ্ছে দিন নিয়ে তিতিবিরক্ত এই ‘মোদী’ কংগ্রেসে যাচ্ছেন?
যদিও স্বাধীনতার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটকে মাথায় রেখে হওয়া একটি প্রদর্শনীতে জিন্নার ছবি থাকা নিয়ে আপত্তির কারণ দেখছেন না অনেকেই। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘জিন্নাকে পছন্দ হোক বা না হোক, উপমহাদেশের স্বাধীনতার আন্দোলন পর্বে গুরুত্বপূর্ণ উপস্থিতি ছিল মহম্মদ আলি জিন্নার। ছবি সরিয়ে দিলেই তাঁর ঐতিহাসিক উপস্থিতিকে অস্বীকার করা যায় না।’’
ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy