—ফাইল চিত্র।
কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধরা সনিয়া গাঁধীর কাছে সক্রিয় নেতৃত্বর দাবি তুলেছিলেন। নেতৃত্বে আপাতত বদল না-হলেও, কংগ্রেস হাইকমান্ড সেই দাবি মেনে গা-ঝাড়া দিয়ে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা শুরু করল।
কৃষির সংস্কার ও অন্যান্য ক্ষেত্রে মোদী সরকারের জারি করা অধ্যাদেশের ভাল-মন্দ খতিয়ে দেখতে সনিয়া আজ পাঁচ সদস্যের কমিটি তৈরি করেছেন। যাতে রয়েছেন পি চিদম্বরম, জয়রাম রমেশ, দিগ্বিজয় সিংহ, গৌরব গগৈ ও প্রাক্তন আমলা, বর্তমানে কংগ্রেস সাংসদ অমর সিংহ। কমিটির আহ্বায়ক জয়রাম।
কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধদের দাবি ছিল, মোদী সরকারের নীতি নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা করে অবস্থান নেওয়া হোক। তার বদলে রাহুল গাঁধী নিজের মতো টুইট করে অবস্থান ঠিক করে ফেলছিলেন বলে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। এই কমিটি গঠন সেই দাবি মেনেই প্রথম পদক্ষেপ বলে কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন। একই সঙ্গে বিহারের ভোটের জন্য আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু করতে আজ অবিনাশ পাণ্ডের নেতৃত্বে স্ক্রিনিং কমিটি তৈরি হয়েছে। পাণ্ডেকে রাজস্থানের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের পর সেখানকার দায়িত্ব থেকে সরানো হয়। বিহারের নেতা, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শাকিল আহমেদের উপর থেকেও কংগ্রেস সাসপেনশন তুলেছে। টিকিট না-পেয়ে গত লোকসভায় নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়ানোয় তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘গালওয়ানের ঘটনা ইতিহাসের একটা মুহূর্ত মাত্র, সব মিটে যাবে’, আশাবাদী চিনা রাষ্ট্রদূত
কংগ্রেস সূত্রের খবর, সনিয়াকে যে ২৩ বিক্ষুব্ধ নেতা চিঠি লিখেছিলেন, তাঁরা শীঘ্রই বৈঠকে বসবেন। তাঁদের দাবি কতখানি মানা হচ্ছে, তা নিয়ে কথা হবে। সোমবার ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পরেই গুলাম নবি আজাদের বাড়িতে এক দফা আলোচনা হয়। আজাদের অবশ্য দাবি, ওই অধ্যায় শেষ হয়ে গিয়েছে। ওয়ার্কিং কমিটিতে মল্লিকার্জুন খড়্গে, অম্বিকা সোনিরা আজাদদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। বৈঠকের পরে অবশ্য রাহুল ফোন করে আজাদের সঙ্গে কথা বলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy