Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Maharashtra

সরকার গড়ুক বিজেপি-শিবসেনা, বিরোধী আসনে বসবে এনসিপি-কংগ্রেস: শরদ পওয়ার

পওয়ার বলেন, “আমরা চাই বিজেপি-শিবসেনা সরকার গঠন করুক। গণতান্ত্রিক অচলাবস্থা তৈরি হওয়া উচিত নয়।”

সাংবাদিক বৈঠকে শরদ পওয়ার। ছবি সৌজন্য টুইটার।

সাংবাদিক বৈঠকে শরদ পওয়ার। ছবি সৌজন্য টুইটার।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৯ ১৪:৪৪
Share: Save:

বিজেপি-শিবসেনাই সরকার গঠন করুক। এনসিপি-কংগ্রেস বিরোধী আসনেই বসতে চায়। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন ‘মরাঠা স্ট্রংম্যান’ শরদ পওয়ার। শিবসেনার সঙ্গে এনসিপি যে যাচ্ছে না একই সঙ্গে সেটাও স্পষ্ট করে দিলেন তিনি। মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের জন্য হাতে রয়েছে আর মাত্র দু’দিন। অন্য দিকে, শিবসেনা-বিজেপি নিজ নিজ অবস্থানে অনড়। ফলে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই দু’দল সমঝোতার রাস্তায় না এলে বিষয়টা যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকেই এগোবে, এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক মহলের অনেকেই।

মঙ্গলবারই এনসিপি জানিয়ে দিয়েছিল, এনডিএ থেকে বেরিয়ে এলে শিবসেনাকে সরকার গঠনে সমর্থন জানাবে। সেই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এ দিন পওয়ারের বাড়িতে হাজির হন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। ফলে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়, তা হলে কি সরকার গড়তে এনসিপির হাত ধরতে চলেছে শিবসেনা। যদিও পরে সাংবাদিক বৈঠকে সেই সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে পওয়ার বলেছেন, “শক্তিশালী বিরোধী দলের ভূমিকাই নিতে চাই।”

সঞ্জয় রাউতের সঙ্গে কী কথা হল? সাংবাদিকরা পওয়ারকে এ প্রশ্ন করলে তিনি জানান, রাউত তাঁকে বলেছেন, বিধানসভায় এনসিপিকে সমর্থন জানাবে শিবসেনা। কারণ এমন অনেক বিষয় আছে যা দু’দলেরই কমন ইস্যু। তবে শিবসেনার সঙ্গে ১৭৫ জন বিধায়ক থাকার তত্ত্বটি নিয়ে তাঁর কোনও ধারণা নেই বলেই জানিয়েছেন পওয়ার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ সঞ্জয় রাউতের কাছে জানতে চাইব কী ভাবে এই সংখ্যাতত্ত্বটি দিলেন তিনি!” পাশাপাশি পওয়ার বলেন, “আমরা চাই বিজেপি-শিবসেনা সরকার গঠন করুক। গণতান্ত্রিক অচলাবস্থা তৈরি হওয়া উচিত নয়।”

আরও পড়ুন: ভারতে আত্মঘাতী হামলার ছক কষেছিল আইএস খোরাসান গ্রুপ, দাবি শীর্ষ মার্কিন আধিকারিকের

আরও পড়ুন: ইয়েদুরাপ্পা দিয়েছিলেন ১০০০ কোটি! দাবি কর্নাটকের ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কের

শরদ পওয়ারের বাড়িতে শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত।

রাউত-পওয়ারের বৈঠক নিয়ে যখন জল্পনা চলছিল, তাতে নতুন মাত্রা দেয় নিতিন গডকড়ী ও কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেলের সাক্ষাত্। এ দিন সকালে সনিয়া-ঘনিষ্ঠ অহমেদ পটেলকে নিতিন গডকড়ীর বাড়ি থেকে বেরতে দেখা যায়। রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটাতে আরএসএস যখন নিতিন গডকড়ীকে কাজে লাগানোর চিন্তাভাবনা শুরু করেছে, ঠিক তখনই এই বিষয়টি ঘিরে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে পটেল সাংবাদিকদের বলেন, সরকার গঠন নিয়ে তাঁদের মধ্যে কোনও আলোচনাই হয়নি। মঙ্গলবার দেবেন্দ্র ফডণবীসের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয় আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে রাজ্যের অচলাবস্থা কাটানোর পরামর্শ দেওয়া হয় ফডণবীসকে। সামনেই অযোধ্যা মামলার রায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাই যত দ্রুত সম্ভব এর সামধান চাইছে আরএসএস। সূত্রের খবর, বিজেপি-শিবসেনার সম্পর্কের বরফ গলাতে নিতিন গডকড়ীকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সঙ্ঘ। আরএসএস-এর সঙ্গে যথেষ্ট ভাল সম্পর্ক গডকড়ীর। সঙ্ঘের ‘গুড বুক’-এও রয়েছেন তিনি। কিন্তু এ দিন আহমেদ পটেলের ঘটনা মহারাষ্ট্রের সাম্প্রতিক রাজীনীতির চিত্রে নতুন একটা মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

গডকড়ীর সঙ্গে পটেলের সাক্ষাতের বিষয়টি নিয়ে এ দিন সাংবাদিকরা পওয়ারকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “আমি জানি না বৈঠকে কী হয়েছে। অনেকেই তো উন্নয়নমূলক কাজের জন্য গডকড়ীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE