আন্দোলন: শাহিন বাগে মঙ্গলবার সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভ। ছবি: পিটিআই।
মেরুকরণ করেই বাজিমাতের মরিয়া চেষ্টা। আর সে কারণেই দিল্লি বিধানসভা ভোটের প্রচারে শিক্ষা-স্বাস্থ্য চুলোয় দিয়ে বিজেপি নেতাদের মুখে শুধুই শাহিন বাগ। গেরুয়া শিবিরের নেতাদের মধ্যে যেন প্রতিযোগিতা চলছে, কে কাকে টপকাতে পারে!
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বললেন, ‘‘এত রাগে ইভিএমের বোতাম টিপুন, যেন ‘কারেন্ট’ লাগে শাহিন বাগে।’’ আপ থেকে বিজেপিতে আসা কপিল মিশ্র শাহিন বাগকে ‘পাকিস্তান’ বলেছিলেন। এখন শাস্তিভোগ করছেন নির্বাচন কমিশনের। আর চার দিন পর বাজেট। তার আগে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর প্রকাশ্য মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলছেন, ‘গদ্দারকো গোলি মারো!’’ কমিশনের নোটিস পেয়েছেন তিনিও। জবাব দিতে হবে বৃহস্পতিবার বেলা বারোটার মধ্যে। এর মধ্যে কলকাতা থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিন্হাও বসে না থেকে শাহিন বাগের বেশির ভাগ প্রতিবাদীকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আসা অনুপ্রবেশকারী অ্যাখ্যা দিয়েছেন।
এ হেন ‘প্রতিযোগিতা’য় পিছিয়ে পড়তে নারাজ বিজেপির দিল্লির সাংসদ প্রবেশ বর্মা। আজ সকালে তাঁর একটি ভিডিয়ো সামনে আসে। যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘১১ ফেব্রুয়ারি দিল্লির বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর বিজেপি ক্ষমতায় এলে শাহিন বাগ খালি করতে এক ঘণ্টাও সময় লাগবে না। একজনকেও দেখা যাবে না। আর এক মাসে আমার নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে অবৈধ মসজিদও সরানো হবে।’’ প্রশ্ন উঠছে, দিল্লি পুলিশ তো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাতে। তা হলে শাহিন বাগকে খালি না করে কেন এমন হুঙ্কার ছেড়ে যাচ্ছেন অমিত ও তাঁর সঙ্গীরা? বিরোধীরা বলছেন, এটা পুরোপুরি ভোটের অঙ্কে। শাহিন বাগ খালি করতে গেলে গোলমাল হওয়ার সম্ভাবনা। তখন দেশ জুড়ে চাপে পড়তে হবে বুঝেই ভোটের মুখে তা নিয়ে মেরুকরণের মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: বুথ-অ্যাপের সুযোগ নিতে ভোটকেন্দ্রে মোবাইল
গত ক’দিনে একাধিক বিজেপি নেতা কুকথার জন্য কমিশনের কোপে পড়ার পরে বিরোধীরা ভেবেছিলেন, ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করবেন প্রবেশ। তা না করে উল্টে আরও বিতর্ক বাধালেন তিনি। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকা থেকে উৎখাতের নজির তুলে বললেন, শাহিন বাগে জড়ো হওয়া লক্ষ লোক এ বারে ঘরে গিয়ে ধর্ষণ করবেন, মারবেন! স্বাভাবিক ভাবেই এ নিয়ে কমিশনের কাছে নালিশ জানিয়েছে কংগ্রেস, আপ। অভিযোগ করেছে দিল্লির সংখ্যালঘু কমিশনও। বিজেপির এই মেরুকরণের প্রতিযোগিতার ফাঁদে পা দিচ্ছে না বিরোধী দলগুলি। বরং তারা বিজেপির অস্বস্তি বাড়াতে হাতিয়ার করছে অর্থনীতিকেই। কংগ্রেসের রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার কথায়, ‘‘বিজেপি নেতাদের সঙ্গে আমাদের ফারাক আছে। একটা স্লোগান হোক না: ‘দেশ কে বেরোজগারো কো, কাম দো সারো কো।’’ অর্থাৎ, দেশের সব বেকারকে কাজ দেওয়া হোক। কিন্তু বিজেপি তা শুনলে তো!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy