মিষ্টি কখন খেলে ভাল? ছবি: ফ্রিপিক।
মিষ্টি খেতে মন চাইছে? কিন্তু শরীরের জন্য খেতে পারছেন না। চিকিৎসক,পুষ্টিবিদেরা তো বলেই দিয়েছেন, চিনি খাওয়া সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর। অনেকেই সচেতন ভাবে চিনি ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কেউ ওজন কমানোর ইচ্ছায়, কেউ আবার ডায়াবিটিসের ভয়ে চিনি খাওয়া ছেড়েছেন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও চিনি খাওয়া ছাড়তেই বলছেন পুষ্টিবিদেরা। কিন্তু জানেন কি, মিষ্টিকে যতই 'খারাপ' বলে চিহ্নিত করে দেওয়া হোক, যদি তা সময় বুঝে খাওয়া যায়, তা হলে কিন্তু ততটা ক্ষতি হয় না।
পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী জানাচ্ছেন, কার হজমশক্তি কতটা, কে কতটা শারীরিক কসরত করছেন, শরীরে কোনও অসুখবিসুখ আছে কি না— এই সব কিছু দেখেই বলা যেতে পারে, তিনি ঠিক কতটা মিষ্টি খেতে পারবেন। যিনি জিমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাম ঝরান অথবা খেলাধূলা করেন, তাঁকে দিনের নির্দিষ্ট সময়ে সামান্য হলেও মিষ্টি খেতেই হবে। কারণ এই শর্করাই তাঁকে পেশির শক্তি প্রদান করবে। আবার যিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে কাজ করেন এবং বিন্দুমাত্রও শরীরচর্চা করেন না, তাঁর পক্ষে একগাদা মিষ্টি খেয়ে ফেলাটা সত্যিই ক্ষতিকর।
এ বার আসা যাক সময়ের প্রসঙ্গে। পুষ্টিবিদের পরামর্শ, শরীরচর্চা করার ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা আগে মিষ্টি খেলে কোনও ক্ষতি নেই। কারণ যে ক্যালোরি শরীরে ঢুকছে, তা ব্যায়াম করলে ঝরে যাবে। যাঁরা ওজন তুলে ব্যায়াম করেন, অথবা হাঁটাহাঁটি করেন, দৌড়ন, সাঁতার বা কার্ডিয়ো করেন, তাঁরা ব্যায়ামের আগে মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতেই পারেন। এতে পেশির শক্তি বাড়বে। তবে কলা, খেজুর, মধু বা বেরি জাতীয় মিষ্টি ফল খেলেই ভাল। অত্যধিক চিনি দেওয়া কোনও পানীয় যেন খেতে যাবেন না। এতে হিতে বিপরীত হবে।
শরীরচর্চার এক ঘণ্টা পরে সামান্য মিষ্টি খেতেই বলা হয়। সে ক্ষেত্রে কোনও প্রোটিন জাতীয় খাবারের সঙ্গে মিষ্টি কিছু খেলে ভাল। এতে পেশির শক্তিও বাড়বে, আবার ক্যালোরির ভারসাম্যও বজায় থাকবে।
সারা দিনে ৫ গ্রাম পর্যন্ত চিনি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদেরা। চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন মানেই ওজন বাড়বে না কিংবা ডায়াবিটিস হবে না, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে সামান্য মিষ্টি খেলে কোনও ক্ষতি নেই। এতে সারা রাতে যে পরিমাণে গ্লাইকোজ়েনের ঘাটতি হচ্ছে, তা পুষিয়ে যাবে। তবে চিনি দেওয়া চা বা কফি না খেয়ে বরং গুড়, মিষ্টি ফল খেতে পারেন। এতে লাভ হবে বেশি। যদি সন্দেশ, রসগোল্লা খেতে মন চায়, তা হলে দু’টি মিলের মাঝে খেতে হবে। তবে ভাজা মিষ্টি না খাওয়াই ভাল। আর রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে যেন ভুলেও মিষ্টি খাবেন না। কারণ, শর্করা মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণে বাধা দেয়। ফলে রোজ রাতে মিষ্টি খেলে অনিদ্রার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy