প্রতীকী ছবি।
মহারাষ্ট্রে বিধান পরিষদের নির্বাচনে ধাক্কা খেল বিজেপি। রাজ্য আইনসভার উচ্চকক্ষের ৬টি আসনে ভোট হয়েছিল। সব ক’টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাত্র একটি আসনে জিতেছে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের দল। ‘সঙ্ঘ প্রভাবিত’ নাগপুর আসনটিও এ বার হাতছাড়া হয়েছে পদ্মশিবিরের। ফল ঘোষণার পরে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস। শাসক জোট মহা বিকাশ আঘাদি(এমভিএ) চারটি আসনে জয়ী হয়েছে। এই জয়কে জোট সরকারের সুশাসনের ফল হিসেবেই দেখছেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার।
স্নাতক ও শিক্ষক ভোটদাতাদের জন্য সংরক্ষিত ৬টি আসনে গত ১ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ হয়েছিল। শাসক জোটের শরিক এনসিপি ও কংগ্রেস দু’টি করে আসনে জয়ী হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের দল শুধু অমরাবতী আসনে লড়াই করেছিল। ওই আসনে শিবসেনা প্রার্থীকে পরাজিত করেছেন নির্দল প্রার্থী। পুণে ডিভিশনের একটি আসন থেকে জয়ী হয়েছেন এনসিপি-র অরুণ লাড এবং ঔরঙ্গাবাদ ডিভিশনে জিতেছেন এনসিপি-র সতীশ চব্যন।
বিজেপি জয়ী হয়েছে ধুলে-নন্দুরবার আসনে। পদ্ম শিবিরের কাছে বড় ধাক্কা নাগপুরের আসনটি খোয়ানো। ফডণবীসের বাবা গঙ্গাধর রাও ফডণবীস ১২ বছর ধরে ওই আসনে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন। প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি তথা বর্তমানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী ওই আসনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ২৫ বছর। শিবসেনা নেত্রী প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে নাগপুর আসনটি বিজেপির দখলে ছিল।’’ নাগপুর ছাড়াও পুণে ডিভিশনের একটি আসনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস।
নির্বাচনী ফলাফলের গতিপ্রকৃতি পরিষ্কার হওয়ার পরে পওয়ার বলেন, ‘‘ভোটের ফল থেকে স্পষ্ট মানুষ জোট সরকারের কাজে সন্তুষ্ট। নয়া জোটকে মানুষ গ্রহণ করেছেন এবং তার প্রতি মানুষের আস্থা রয়েছে।’’ ফডণবীসের কথায়, ‘‘আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল হয়নি। তিন দলের জোটের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। তাদের শক্তি বিচার করতে আমাদের ভুল হয়েছে। আশা করি, আগামী নির্বাচনে ভাল ফল করতে পারব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy