প্রতীকী চিত্র।
তেজস্বী যাদব তো থাকবেনই। কিন্তু বিহারের ভোটে বিজেপি-জেডিইউ জোটের কাছে বেশি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে করোনা। একের পর এক নেতা কোভিডে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। ফলে তাঁদের প্রচার ও ভোটের কাজকর্ম থেকে সরে দাঁড়াতে হচ্ছে। ২৮ অক্টোবর বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। তার আগে মহাষ্টমীর সকালে বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফডণবীস জানিয়েছেন, তিনি কোভিড আক্রান্ত। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যু ঘিরে বিহার-মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হতেই মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্রকে বিহারের বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে পটনায় উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিল বিজেপি। উদ্দেশ্য ছিল, বিহারের ভূমিপুত্র সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত মহারাষ্ট্রের অ-বিজেপি সরকার ঠিক মতো করেনি বলে অভিযোগ তুলে বিহারি আবেগ উস্কে দেওয়া। কিন্তু শনিবার করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর জানিয়ে টুইটারে দেবেন্দ্র লিখেছেন, ‘ঈশ্বর চাইছেন, আমি একটু থামি এবং একটু বিরতি নিই’।
বৃহস্পতিবারই রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী, বিজেপি নেতা সুশীল মোদী জানিয়েছিলেন, তিনি করোনা আক্রান্ত। তাঁকে পটনার এমস-এ ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে জনসভা করেছেন। ভোটে জিততে বিহারে বিনামূল্যে করোনা প্রতিষেধক দেওয়ার কথা ইস্তাহারে ঘোষণা করেছে বিজেপি। শুক্রবারই নরেন্দ্র মোদী বিহারে ভোটপ্রচারে গিয়েছিলেন। তার মধ্যেই যে ভাবে বিজেপির একের পর এক নেতা কোভিড আক্রান্ত হচ্ছেন, তাতে দলের নেতাদের ঘুম ছুটেছে।
বিজেপি-জেডিইউ নেতারা বলছেন, দেবেন্দ্র জোটের সপ্তম নেতা, যিনি কোভিড আক্রান্ত হলেন। তাঁর আগে সুশীল মোদী ছাড়াও সাংসদ রাজীব প্রতাপ রুডি, শাহনওয়াজ হুসেন, মঙ্গল পাণ্ডে, জেডিইউ নেতা বিজয় কুমার মাঝি কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। গত সপ্তাহেই নির্বাচন কমিশন বিহারের রাজনৈতিক দলগুলিকে কোভিডের বিধিনিষেধ মেনে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দিয়েছিল। কমিশনের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রকেরও দুশ্চিন্তার কারণ হল, বিহারের প্রচারে অনেক ক্ষেত্রেই মাস্ক পরার মতো ন্যূনতম শর্তও মানা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ঘটপুজোর মেঘালয়ে অঞ্জলি অনলাইনে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy