Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
Jitan Ram Manjhi

নিজের আগুনেই ভস্ম হলেন চিরাগ, বিহারে ১টি আসন জয়ের পর কটাক্ষ জীতনরামের

রাজনৈতিক দল হিসেবে ভোটের ময়দানে প্রত্যাশিত প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি চিরাগ। বরং একটির বেশি আসন না মেলায় লোক জনশক্তি পার্টি (এলজেপি) অপ্রাসঙ্গিক  হয়ে পড়বে বলে ধারণা জীতনরামের।

এনডিএ-তে নীতীশের ক্ষমতা খর্ব করতে সফল হলেও বিধানসভায় নিজের দলের আসনসংখ্যা বাড়াতে পারেননি চিরাগ।গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

এনডিএ-তে নীতীশের ক্ষমতা খর্ব করতে সফল হলেও বিধানসভায় নিজের দলের আসনসংখ্যা বাড়াতে পারেননি চিরাগ।গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সংবাদ সংস্থা
পটনা শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২০ ১৯:৩৩
Share: Save:

বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে মাত্র ১টির দখল নিতে পেরেছেন চিরাগ পাসোয়ান। তবে দাবি করেছেন তাঁর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সফল। কারণ নীতীশ কুমারের দল ডেডিইউ-কে তিনি ঠেলে দিতে পেরেছেন তৃতীয় স্থানে। যদিও বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা-র নেতা জীতনরাম মাঁঝি মনে করেন নিজের স্ফূলিঙ্গেই ভস্ম হয়েছেন চিরাগ।

রাজনৈতিক দল হিসেবে ভোটের ময়দানে প্রত্যাশিত প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি চিরাগ। বরং ১টির বেশি আসন না মেলায় লোক জনশক্তি পার্টি (এলজেপি) অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বে বলে ধারণা জীতনরামের। এলজেপি-র সভাপতি চিরাগকে কটাক্ষ করে জীতন বলেছেন, “চিরাগ যে ডালে বসেছিলেন, সেটাই কেটে ফেলতে চেয়েছেন। এবং তা করতে গিয়ে নিজের আগুনের স্ফুলিঙ্গেই ভস্ম হয়ে গিয়েছেন।”

বিহারে এনডিএ ফের জিতলেও হার অবশ্য নীতীশের হয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে। ভোটের পর দলভিত্তিক আসন সংখ্যার নিরিখে বিজেপি এবং তেজস্বী যাদবের দল আরজেডি-র পরে নেমে গিয়েছে ৪৩টি আসনে জেতা নীতীশের জেডিইউ। ফলে এনডিএ-তে শরিকি ওজনও কমেছে তাঁর। এবং এর পিছনে যে বিজেপি নেতৃত্বের হাত হয়েছে, তেমনটাই জল্পনা চলছে। মূলত যে সব আসনে সামনাসামনি টক্কর হয়েছে এলজেপি এবং জেডিইউ-এর, সেখানেই নীতীশের দলের ভোট কেটেছেন চিরাগ। অন্যদিকে, যে আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি এলজেপি, সেখানে বিজেপি প্রার্থীদের ভোট দিতে অনুরোধ করেছেন তিনি। ফলে এনডিএ-তে নীতীশের ক্ষমতা খর্ব করতেও সফল চিরাগ। কিন্তু এই গোটা পর্বে বিধানসভায় নিজের দলের আসনসংখ্যা বাড়াতে পারেননি তিনি।

আরও পড়ুন: তেজস্বীর সাফল্যের নেপথ্য কারিগর, কে এই সঞ্জয় যাদব?

আরও পড়ুন: নীতীশ কুমারই মুখ্যমন্ত্রী, প্রতিশ্রুতি পালন করবে বিজেপি, ঘোষণা সুশীল মোদীর

২০১৫-তে এলজেপি-র দখলে ছিল ২টি বিধানসভা আসন। এ বার তার থেকেও কমে গিয়েছে আসন সংখ্যা। তাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সফল হতে গিয়ে আদতে দলের তথা নিজেরও মুখ পুড়িয়েছেন। যদিও এর পিছনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্বের হাতছানি রয়েছে বলেও জোর জল্পনা রাজনৈতিক শিবিরে।তবে বিহার নির্বাচনে দলীয় ফলাফলকে পরাজয় হিসেবে দেখতে চান না সদ্যপ্রয়াত রামবিলাস পাসোয়ানের ছেলে। মঙ্গলবার গভীর রাতে ফলাফল ঘোষণার পরই টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘সমস্ত এলজেপি প্রার্থীরাই যে জোটহীন ভাবে কোনও সাহায্য ছাড়াই ভোটে লড়েছেন, তার জন্য আমি গর্বিত। আমরা ভোটারদের ভালবাসা পেয়েছি। দলের ভোটশেয়ারও বেড়েছে। প্রতিটি জেলায় দলীয় শক্তিবৃদ্ধি হয়েছে। ভবিষ্যতে এর থেকে লাভবান হব’।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE