Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Jammu And Kashmir

কাশ্মীরে প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞায় এখনই হস্তক্ষেপ নয়, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট

গত ৫ অগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে কেন্দ্রীয় সরকার। লাদাখ এবং জম্মু-কাশ্মীর, দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কাশ্মীর নিয়ে এখনই নাক গলাতে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট।—ফাইল চিত্র।

কাশ্মীর নিয়ে এখনই নাক গলাতে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট।—ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৯ ১৪:১৯
Share: Save:

জম্মু-কাশ্মীরে প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞায় হস্তক্ষেপ করতে রাজি হল না সুপ্রিম কোর্ট। উপত্যকায় অবিলম্বে কার্ফু তুলে নিতে, টেলিফোন সংযোগ ফিরিয়ে আনতে এবং ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করতে আদালতে আবেদন করেছিলেন সমাজকর্মী তেহসিন পুণাওয়ালা। সোমবার আবেদনটির শুনানি শুরু হলে সাত তাড়াতাড়ি রায় দিতে রাজি হয়নি শীর্ষ আদালত। বরং জানিয়ে দেয়, এখন যা পারিস্থিতি, তাতে তড়িঘড়ি কিছু করা ঠিক হবে না। বরং পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সময় দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকেও। দু’সপ্তাহ পর ফের আবেদনটির শুনানি হবে।

বিচারপতি অরুণ মিশ্রর নেতৃত্বাধীন বিচারপতি এমআর শাহ এবং বিচারপতি অজয় রাস্তোগির ডিভিশন বেঞ্চে এ দিন আবেদনটির শুনানি চলছিল। সেইসময় বেঞ্চ বলে, ‘‘আমরাও চাই উপত্যকা ফের স্বাভাবিক হয়ে যাক। কিন্তু রাতারাতি কিছু হওয়া সম্ভব নয়। এই মুহূর্তে ওখানে কী হচ্ছে, কেউ তা জানে না। তাই সরকারের উপর ভরসা করা ছাড় উপায় নেই। এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়।’’

আদালত আরও জানায়, ‘‘এই মুহূর্তে পরিস্থিতিটা বোঝা উচিত। সরকারকে সময় দিতেই হবে। উপত্যকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে আমাদের। তার পরেও ছবিটা যদি কিছু না বদলায়, তখন ফের আদালতে আসতে পারেন আবেদনকারী।’’

আরও পড়ুন: যান্ত্রিক গোলযোগে নাগপুর থেকে উড়ল না ইন্ডিগোর বিমান, ছিলেন নিতিন গডকড়ীও​

শুনানি চলাকালীন এ দিন আদালতে কেন্দ্রীয় সরকারের হয়ে সওয়াল করছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল। তিনি বলেন, ‘‘২০১৬-র জুলাই মাসে হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পরও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। সেইসময়ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সে বার ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ বার এখনও পর্যন্ত কোনও প্রাণহানি ঘটেনি। খুব শীঘ্র পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা আমাদের। আর তা হলেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।’’ উপত্যকার পরিস্থিতির দিকে কেন্দ্রীয় সরকার সারা ক্ষণ নজর রেখেছে বলেও আদালতে জানান তিনি।

আরও পড়ুন: বিক্ষিপ্ত বিক্ষোভ থামাতে খরচ হয়নি একটিও বুলেট, ইদের কাশ্মীরে স্বস্তিতে সরকার​

গত ৫ অগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে কেন্দ্রীয় সরকার। লাদাখ এবং জম্মু-কাশ্মীর, দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই থেকে উপত্যকার পরিস্থিতি থমথমে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিশাল বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে সেখানে। বন্দি করা হয়েছে উপত্যকার দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লাকে। আটক করা হয়েছে আরও বহু রাজনীতিক এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে। আবেদনে মেহবুবা এবং ওমরকে আটক করার সিদ্ধান্তকেও চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন তেহসিন পুণাওয়ালা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE