প্রতীকী ছবি।
বারো থেকে আঠারো বছর বয়সিদের উপরে কোভ্যাক্সিন প্রতিষেধকের তৃতীয় পর্বের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ছাড়পত্র পেল হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক সংস্থা।
জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের প্রশ্নে গত কাল দুটি প্রতিষেধকে ছাড়পত্র দিয়েছে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। যার মধ্যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজ়েনেকা সংস্থার তৈরি কোভিশিল্ড যেমন রয়েছে, তেমনি ছাড়পত্র পায় ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন। কিন্তু মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের তিনটি ধাপের পরিবর্তে কেবল দুটি ধাপের ফলাফলের ভিত্তিতে কোভ্যাক্সিন ছাড়পত্র পাওয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা ও বিশেষজ্ঞরা। বিরোধীদের অভিযোগ, স্বদেশী সংস্থা বলে সম্পূর্ণ পরীক্ষামূলক প্রয়োগের আগেই কোভ্যাক্সিনকে ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র। এখন সেই প্রতিষেধক কিশোর-কিশোরীদের উপরে প্রয়োগের ছাড়পত্র মেলায় স্বভাবতই নতুন করে প্রশ্নের মুখে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
এই সব অভিযোগ উড়িয়ে ডিসিজিআই অবশ্য জানিয়েছে, গোড়া থেকেই বয়স্কদের সঙ্গেই বারো থেকে আঠারো বছর বয়সিদের উপর পরীক্ষামূলক টিকা প্রয়োগ চালাচ্ছিল ভারত বায়োটেক। ইতিমধ্যেই কিশোর-কিশোরীদের উপর প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয়ে গিয়েছে। সেই ফলাফলের ভিত্তিতে ওই সংস্থাকে তৃতীয় দফায় পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সংস্থার দাবি, এমন নয় গতকালই প্রথম অল্পবয়সিদের
উপর পরীক্ষায় সম্মতি দিয়েছে ডিসিজিআই। ওই পরীক্ষা আগে থেকেই শুরু হয়েছিল।
কিন্তু প্রশ্ন হল, যথেষ্ট পরিমাণে তথ্য না-থাকায় ইতিমধ্যেই ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন প্রতিষেধক ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরে ওই টিকা কতটা কাজ করবে, তা নিয়ে সরব হয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের প্রশ্ন, এই পরিস্থিতিতে কেন কিশোর-কিশোরীদের গিনিপিগ বানানো হচ্ছে। ডিসিজিআই-এর পাল্টা, ওই সংস্থার প্রথম দু’টি পর্বের ফলাফলের ভিত্তিতে বলা যায় ওই টিকা নিরাপদ। তা ছাড়া ওই টিকা যে কার্যকর সেই তথ্যপ্রমাণও সংস্থা জমা দিয়েছে। সেই ভিত্তিতে অপ্রাপ্তবয়স্কদের উপরে তৃতীয় পর্বের পরীক্ষামূল প্রয়োগ করার প্রশ্নে ছাড় দেওয়া হয়েছে কোভ্যাক্সিনকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy