ফের অখিলেশকে তোপ মায়াবতীর। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
সময় যত গড়াচ্ছে তিক্ততা বাড়ছে বিএসপি-এসপির। ‘মহাগঠবন্ধন’ ভুলে কার্যত পুরনো চির-প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক অবস্থানই ফিরে আসছে এসপি-বিএসপি। অর্থাৎফের যুযুধান প্রতিপক্ষ হিসাবেই পরস্পরের দিকে এগোচ্ছে উত্তরপ্রদেশের দুই দল। এ বার অখিলেশকে ‘মুসলিম বিরোধী’ বলে তোপ দাগলেন মায়াবতী। লখনউয়ে সোমবার দলের বৈঠকে বিএসপি নেত্রীরএ দিন আরও আক্ষেপ, ভোটের ফল ঘোষণার পর অখিলেশ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগই করেননি। তাজ করিডোর দুর্নীতিতে মুলায়ম সিংহ যাদব তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিলেন বলেও আক্রমণ মায়াবতীর। একই তাঁর ঘোষণা, আগামী সব ভোটে একাই লড়বে বিএসপি।
বিজেপিকে ঠেকাতে লোকসভা ভোটে মহাগঠবন্ধন করে লড়েছিল বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) ও সমাজবাদী পার্টি (এসপি)। সঙ্গে ছিল অজিত সিংহের রাষ্ট্রীয় লোক দল। কিন্তু ভোটে শোচনীয় ফল হয় মহাজোটের। মায়াবতীর দল বিএসপি-র ঝুলিতে ১০টি আসন। অখিলেশের দল পায় মাত্র ৫টি। এর পরই মহাজোটে কার্যত ইতি টেনে দিয়েছিলেন মায়াবতী। আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচনে একা লড়ার ঘোষণাও করে দেন বিএসপি সুপ্রিমো। একইসঙ্গে মায়াবতীর অভিযোগ ছিল, দলিতদের ভোট এসপি পেলেও যাদব ভোট বিএসপির ঝুলিতে আসেনি। এমনকি, অখিলেশ নিজের স্ত্রী ডিম্পলকেও জেতাতে পারেননি। শুধুমাত্র মুসলিমরা যেখানে এসপি-কে ভোট দিয়েছেন, সেখানেই জিতেছেন অখিলেশের প্রার্থীরা।
বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতির মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গে যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুসলিম ভোটকে আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করছেন, উত্তরপ্রদেশেও রাজনৈতিক পটভূমি কার্যত একই রকম। প্রায় ২০ শতাংশ মুসলিম ভোট নিজেদের দিকে টেনেই বিজেপির মোকাবিলা করতে চাইছেন মায়াবতীও। সেই সূত্রেই এ বার অখিলেশকে ‘মুসলিম বিরোধী’ তকমা দিয়ে দিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী। অভিযোগ করেছেন, অখিলেশ মুসলিমদের টিকিট দিতে চাননি। মায়াবতী বলেন, ‘‘আমি যখন ভোটের টিকিট বিলি করছিলাম, তখন সতীশ মিশ্রর (বিএসপি নেতা) মাধ্যমে অখিলেশ বার্তা পাঠিয়েছিলেন, মুসলিমদের যেন টিকিট না দেওয়া হয়। কিন্তু আমি তাতে রাজি হইনি।’’
আরও পড়ুন: মেয়াদ শেষের আগেই ইস্তফা দিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর
অখিলেশের বিরুদ্ধে ভোটে ষড়যন্ত্রের অভিযোগও এনেছেন মায়াবতী। তিনি বলেন, মহাজোটকে মানুষ ভোট দেয়নি, কারণ এসপি সভাপতি অখিলেশ ‘‘অযাদব দলিত-বিরোধী হিসেবে কাজ করেছেন।’’
মহাজোট ভাঙার দায়ও পুরোপুরি এসপি-র ঘাড়ে চাপাতেও কসুর করেননি বিএসপি নেত্রী। অখিলেশকে নিশানা করে মায়াবতী বলেন, ‘‘ভোটের ফল ঘোষণার পর অখিলেশ একবারও ফোন করেননি। এমনকি, প্রবীণ হিসেবে আমি সতীশ মিশ্রর মাধ্যমে অখিলেশকে ফোন করে বার্তা দেওয়ার পরও উনি ফোন করেননি।’’
২০০২-’০৩ সালে তাজ করিডোর দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছিল উত্তরপ্রদেশের তৎকালীনমুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীর। আগ্রায় তাজমহল সংলগ্ন এলাকায় পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সেই সময় প্রায় ১৭৫ কোটির প্রকল্প হাতে নিয়েছিল মায়াবতী সরকার। কিন্তু ওই প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে মায়াবতীর বিরুদ্ধে। তার তদন্ত এখনও চলছে। মায়াবতী যদিও দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের পাল্টা অভিযোগ আনেন। এ বার বিজেপির সঙ্গে মুলায়ম সিংহ যাদবের নামও জড়িয়ে দিলেন দলিত নেত্রী। তিনি বলেন,‘‘তাজ করিডোর মামলায় বিজেপির পাশাপাশি মুলয়মও আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিলেন।’’
परन्तु लोकसभा आमचुनाव के बाद सपा का व्यवहार बीएसपी को यह सोचने पर मजबूर करता है कि क्या ऐसा करके बीजेपी को आगे हरा पाना संभव होगा? जो संभव नहीं है। अतः पार्टी व मूवमेन्ट के हित में अब बीएसपी आगे होने वाले सभी छोटे-बड़े चुनाव अकेले अपने बूते पर ही लड़ेगी।
— Mayawati (@Mayawati) June 24, 2019
আরও পডু়ন: বালাকোটের পর দিল্লির চিন্তা বাড়িয়েছিল পাকিস্তানি ডুবোজাহাজ
এ বার লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে ১১ জন বিধায়ক সাংসদ হয়েছেন। ফলে ওই কেন্দ্রগুলিতে উপনির্বাচন আসন্ন। মায়াবতী আগেই ঘোষণা করেছিলেন, উপনির্বাচনে একা লড়বেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষদের ব্যাখ্যা, উপনির্বাচনের আগে বিএসপি নেত্রীর এ ভাবে আক্রমণ করে কার্যত ভবিষ্যতে তাঁর একলা চলার নীতিই আরও স্পষ্ট করলেন। টুইট করেও মায়াবতী সে কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। উল্টো দিকে এসপি শিবির কার্যত মৌনব্রত নিয়েছে। ভোটের ফল ঘোষণার ১০ দিন পর মায়াবতী যখন জোট ভাঙার কথা ঘোষণা করে একলা চলার কথা বলেছিলেন, তখনও মুলায়ম-অখিলেশ কোনও মন্তব্য করেননি। এ দিনের আক্রমণের পরও তাঁদের অবস্থান বদল হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy