আপনি কেমন মানুষ, কেমন আপনার মনের অবস্থা, তা জানতে এখন থেকে আর আপনার সঙ্গে কথা বলা হবে না। বরঞ্চ আপনার টুইটই আপনার হয়ে জানিয়ে দেবে কেমন মানুষ আপনি। টুইট করার মুহূর্তে কেমন ছিল আপনার মনের অবস্থা।
ভাবছেন রসিকতা করছি। মাত্র ১৪০ অক্ষরের মধ্যে কী করে বোঝা যাবে মানসিক অবস্থা? এ প্রশ্ন উঠছে মনে। চিন্তা করবেন না। আপনার চিন্তা দূর করতে হাজির ফ্লোরিডার অ্যাটলান্টিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক। তাঁদের দাবি, টুইট থেকেই জানা যাবে টুইট করা ব্যক্তির মানসিক অবস্থা। এর জন্য প্রায় ২ কোটি টুইটকে পর্যালোচনা করেছেন তাঁরা। টুইট করার সময় বাস্তব ঘটনার কী প্রভাব পড়ে ব্যক্তিদের মনে, লিঙ্গ ভেদে কী টুইটের বক্তব্য পাল্টায়—এসব জানতেই পরীক্ষা নিরীক্ষা চালান তাঁরা। পরীক্ষায় প্রকাশ, সপ্তাহের শুরুতে একজন ব্যক্তি যেমন টুইট করেন, সেই ব্যক্তিরই মুডের বদল ঘটে সপ্তাহের শেষে। তখন তাঁর টুইটের বক্তব্য পাল্টে যায়। সপ্তাহের শুরুতে কাজের চাপে যদিও বা নেতিবাচক টুইট দেখা যায়, সপ্তাহের শেষে কাজ থেকে মুক্তির আনন্দে সেই নেতিবাচক প্রভাবই বদলে যায় চুড়ান্ত ইতিবাচক চিন্তাধারায়। পুরুষ-মহিলাদের টুইটের অনুপাতে দেখা যায়, মহিলারা পুরুষদের তুলনায় বেশি আবেগপ্রবণ।
কী ভাবে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বাছলেন টুইটগুলি?
টুইটগুলিকে কম্পিউটার প্রোগ্রাম লিঙ্গ্যুস্টিক এনকোয়ারি ওয়ার্ড কাউন্ট (এলআইডব্লুসি) পদ্ধতির মাধ্যমে বিচার করেন গবেষকরা। টুইট করার সময় সেই ব্যক্তি কোনও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এনেছেন কী না, নেতিবাচক বা ইতিবাচক শব্দই বা কতটা তিনি ব্যবহার করেছেন তা জানার চেষ্টা করেছেন ফ্লোরিডার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে ব্যক্তি টুইটে ‘দায়িত্ব বা ডিউটি’ কথাটি লিখেছেন সেই ব্যক্তিই সেই টুইটে ‘কাজ’ কথাটির ব্যবহার করেছেন। এ ছাড়াও গ্রাম-শহরের প্রকারভেদেও পাল্টে যায় টুইটের ভাষা। গবেষণাপত্রটি প্লস ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy