পুজোর ভিড় এড়িয়ে কোথায় যেতে পারেন? ছবি: সংগৃহীত।
শহরের আনাচকানাচে পুজোর আমেজ। পুজোর গন্ধে ম ম করছে চারদিক। উৎসব-উদ্যাপনের প্রস্তুতিও তুঙ্গে। বছর ঘুরে পুজো এসেছে। বছরখানেকের অপেক্ষার অবসান। উৎসবের স্রোতে গা ভাসিয়ে আনন্দ, হুল্লোড় করতে তৈরি হচ্ছে বাঙালি। পুজোর কলকাতা মানেই জনস্রোত আর কলরব। ভিড়ে মিশে গিয়ে পায়ে হেঁটে ঠাকুর দেখা থেকে শুরু করে প্যান্ডেল চত্বরে আড্ডা দেওয়া— অনেকেরই অবশ্য এমন উদ্যাপন পছন্দ নয়। পুজোর ভিড় এড়িয়ে বন্ধুবান্ধব, সঙ্গীর সঙ্গে একান্তে আড্ডা দিতেই বেশি পছন্দ করেন অনেকে। ভিড়ভাট্টার চেয়ে নিরিবিলি জায়গায় সবাই মিলে গোল করে বসে গল্পগুজব করার মজাই আলাদা। পুজোয় ঘরোয়া আড্ডা তো হয়েই। তবে উৎসবের মরসুমে ঘরে মন টিকিয়ে রাখা সহজ নয়। জনস্রোতে ভেসে না যেতে ইচ্ছা করলে, আর কোথায় আনন্দ করতে যেতে পারেন?
ইকো পার্ক
ঘরের কাছেই আনন্দ করার এমন জায়গা থাকতে চিন্তা কি? পুজোর ভিড় এড়িয়ে বন্ধুবান্ধব, পরিজনদের নিয়ে চলে যেতে পারেন ইকো পার্ক। কংক্রিটের জঙ্গলে এমন সবুজে ঘেরা জায়গার সত্যিই অভাব আছে। বিস্তৃত জায়গায় এই পার্ক তৈরি হয়েছে। তাই মনের আনন্দে হাত-পা ছড়িয়ে বসে আড্ডা দেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে এখানে। এমনিতে সারা বছরই ইকো পার্কে বেশ ভিড় থাকে। তবে পুজোর সময়ে ভিড় খানিক কম হলেও হতে পারে। টয় ট্রেন, রোমের বিখ্যাত মঞ্চ কলোসিয়াম, জর্ডনের পেট্রো, মিশরের পিরামিড, তাজমহলের ভাস্কর্য রয়েছে এখানে। বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে গেলেও তারা খুশি হবে।
নিকো পার্ক
চড়ুইভাতি কি শুধু শীতকালের উৎসব? তা কিন্তু নয়। চাইলে পুজোর সময়েও সকলকে সঙ্গে ছোটখাটো বনভোজন করাই যায়। তার জন্য পুজোর শহর ছেড়ে দূরে কোথায় যেতে হবে না। সারা দিন একটু অন্য পরিবেশে কাটিয়ে আসতে চাইলে নিকো পার্ক যেতে পারেন। একসঙ্গে সবাই মিলে বসে খেতে খেতে গল্প করলেই পিকনিকের মতোই অনুভূতি হবে। তা ছাড়া, নিকো পার্কে রয়েছে জনপ্রিয় কিছু রাইডও। ওয়াটার বুট, রোলার কোস্টার, ম্যাজিক কার্পেট, টয় ট্রেনের মতো বহু মজাদার জিনিস আছে এখানে। পুজোর আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে এখানে এলে।
অ্যাকোয়াটিকা
কলকাতার সবচেয়ে পুরনো ‘ওয়াটার পার্ক’ হল অ্যাকোয়াটিকা। শুধু তা-ই নয়, এটি কলকাতার বৃহত্তম ওয়াটার থিম পার্কও। পুজোর ভিড় এড়িয়ে শরতের সোনা রোদ গায়ে মেখে এখানকার সুইমিং পুলের নীল জলে ভেসে থাকতে পারেন। অনেকে মিলে এখানে এলে বেশ মজা হবে। ‘অ্যাকোয়া ডান্সফ্লোর’ও রয়েছে। উৎসবের মেজাজে গানের তালে খানিকটা নেচেও নিতে পারেন। গো-কার্টিং, নায়াগ্রা ফলস, ব্ল্যাকহোল, টর্নেডো, ওয়েভ পুল, সার্ফ রেসারের মতো অসংখ্য মজাদার রাইড রয়েছে এখানে। অ্যাকোয়াটিকায় পোশাক এবং লকারের সুবিধা আছে।
স্নো পার্ক
পুজোর সময়ে অনেকেই পাহাড়ে বেড়াতে চলে যান। পুজোর চারটি দিন বরফ আর কুয়াশা মেখেই কাটিয়ে দেন। এ দিকে, আবার মন পড়ে থাকে কলকাতায়। এত কিছু না করে কলকাতায় বসেও তুষারপাত আর বরফের আমেজ নিতে স্নো পার্কে যেতে পারেন। রাজারহাটে অ্যাক্সিস মলের ছ’তলায় রয়েছে এই স্নো পার্ক। পুজোর ভিড়ে চিঁড়েচ্যাপ্টা হতে না চাইলে এখানে কাটিয়ে যেতে পারেন কিছু ক্ষণ। স্নো পার্কের ভিতরে ঢোকার জন্য গামবুট, জ্যাকেট পাওয়া যায়। এখানে সময় কাটাতে মাথাপিছু টিকিট ভাড়া ৪৯৯ টাকা।
ভিক্টোরিয়ার মাঠ
কচি সবুজ ঘাসে মোড়ানো ভিক্টোরিয়ার মাঠ হতে পারে আড্ডা দেওয়ার আদর্শ জায়গা। রেস্তরাঁ, ক্যাফেতে এই সময় তিলধারণের জায়গা থাকে না। তার উপর বসে গল্পগুজব করার সময়ও নির্ধারিত। তার চেয়ে খাবারদাবার সঙ্গে নিয়ে সোজা চলে যান ভিক্টোরিয়ার মাঠে। শরতের রোদের তেমন তীব্রতা নেই। ফলে রোদে বসলেও মাথা ধরে যাওয়ার ভয় নেই। যত ক্ষণ খুশি, যেখানে খুশি বসে সকলে মিলে সময় কাটাতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy