মুখ ঢেকেছে ট্যাটুতে। ছবি:সংগৃহীত।
কালো দাগছোপে মুখ ভরে গিয়েছিল। সেই অবাঞ্ছিত দাগ ঢেকে ফেলতে গোটা মুখে ট্যাটু করিয়েছিলেন ২১ বছর বয়সি টেলর হোয়াইট। তার পর কেটে গিয়েছে প্রায় দু’দশক। টেলরের বয়স এখন ৩৭। মুখভর্তি আঁকিবুকি নিয়ে এত দিন কোনও সমস্যা না হলেও সম্প্রতি বিপাকে পড়েছেন ফ্লোরিডার বাসিন্দা টেলর। তিনি আগে একটি ট্যাটু এবং পিয়ার্সিং সংস্থায় কাজ করতেন। কিছু দিন হল সেই কাজটি ছেড়ে দিয়েছেন টেলর। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে চাইছেন তিনি। সেই কারণে বেশ কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগও করেছেন। কিন্তু চেষ্টা করেও কোনও কাজ পাচ্ছেন না তিনি। অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাঁর মুখের ভয়ানক ট্যাটু।
সংস্থাগুলির তরফে তাঁকে জানানো হয়েছিল, মানসিক সমস্যা নিয়ে যাঁরা আসবেন টেলরের মুখের ট্যাটু তাঁদের মানসিক উদ্বেগের কারণ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে লাভ কিছুই হবে না। ট্যাটুর কারণে চাকরি না পেয়ে অবসাদে চলে যাচ্ছিলেন তিনি। ট্যাটুর কারণে জীবনে অনেক কিছু হারিয়েছেন টেলর। ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন এক জনকে। প্রেম পর্বে টেলরের ট্যাটু নিয়ে কোনও সমস্যা না হলেও বিয়ের পর থেকে ক্রমাগত হেনস্থা হতে হয় স্বামীর কাছে। শেষ পর্যন্ত ডিভোর্সের পথে হাঁটেন তাঁরা। বিচ্ছেদের বছর খানেক পরে ফের প্রেমে পড়েছিলেন টেলর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই প্রেম টেকেনি। কারণ সেই ট্যাটু। সেই ট্যাটুর কারণেই চাকরি না পাওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। মুখের ট্যাটু মুছে ফেলতে উঠেপড়ে লাগেন তিনি। ট্যাটু করতে যে খরচ তুলতে তার দ্বিগুণ খরচ। কিন্তু টেলরের পক্ষে অত টাকা খরচ করার সামর্থ্য ছিল না। তাই সমাজমাধ্যমে সাহায্যের আবেদন করে একটি পোস্ট করেন তিনি। অনেকেই তাঁর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। সেই পোস্ট ভাইরাল হয়। পোস্ট পৌঁছে যায় একটি ‘ট্যাটু রিমুভিং’ সংস্থার কাছেও। সংস্থার তরফে টেলরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বিনা খরচে টেলরের ট্যাটু মুছে দেয় সংস্থাটি। ট্যাটু থেকে মুক্তি পাওয়ার পর অবশ্য জীবন অনেক সহজ হয় টেলরের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy