ব্রাহ্মী শাক স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, মানসিক চাপ কমায় বলেই জানেন অনেকে। কিন্তু এই ভেষজ উদ্ভিদের আরও অনেক গুণ রয়েছে। ব্রাহ্মী সঠিক উপায়ে ব্যবহার করতে পারলে তা চুলের স্বাস্থ্যও ভাল রাখে। চুল পড়া কমাতে ও চুলের বৃদ্ধির জন্যও নাকি খুবই উপকারী ব্রাহ্মী শাক। ঠিক কী ভাবে ব্যবহার করলে চুল ভাল থাকবে, তা জেনে রাখা জরুরি।
স্নায়ুকোষের অবক্ষয় রুখতে ব্রাহ্মী শাকের প্রভাব কতটা, সে নিয়ে বহু দিন ধরেই গবেষণা হচ্ছে। গবেষকেরা জেনেছেন, ব্রাহ্মী শাকের মধ্যে থাকা ব্যাকোসাইড নামক একটি রাসায়নিক স্নায়ুকোষের অবক্ষয় রুখে দিতে পারে। ফলে স্মৃতি লোপ পায় না সহজে। ঠিক তেমনই এই শাকের স্যাপোনিন ও ফ্ল্যাভোনয়েড নামক দু’টি উপাদান মাথার ত্বকের কোষের পুষ্টি জোগায়। মাথার ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য ধরে রাখে এবং প্রদাহ হতে দেয় না। এই প্রদাহের কারণেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চুল ঝরার সমস্যা বাড়ে। ব্রাহ্মী শাক সঠিক উপায়ে মাখতে পারলে খুশকির সমস্যাও দূর হতে পারে।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
দু’টি উপায়ে ব্যবহার করা যেতে পারে—
১) ব্রাহ্মীর তেল
নারকেল তেল বা তিসির তেল আগে গরম করে নিতে হবে। এর মধ্যে ব্রাহ্মী শাকের কয়েকটি পাতা ফেলে আবারও ফোটান। ৫-৭ মিনিট ফোটালে পাতাগুলি তেলের মধ্যে মিশে যাবে। এ বার তেলটি ঠান্ডা হতে দিন। ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে, সেটি কাচের শিশিতে ভরে রাখুন। এই তেল অল্প করে নিয়ে ভাল করে চুলে ও মাথার ত্বকে মালিশ করতে পারলে চুলের গোড়া মজবুত হবে। সারা রাত যদি তেল মালিশ করে রাখা যায় তা হলে ভাল। না হলে ঘণ্টা দেড়েকের মতো রেখে হালকা কোনও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে।
চুল খুব শুষ্ক হলে এবং ডগা ফাটার সমস্যা থাকলে এই তেল সপ্তাহে ৪ দিন ব্যবহার করা যেতে পারে।
২) ব্রাহ্মী শাক বাটা
ব্রাহ্মী শাকের পাতা ধুয়ে নিয়ে জলে ভিজিয়ে রাখুন। নরম হলে সেটি বেটে নিন। এই পাতা বাটা তিলের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে অথবা সরাসরি মাথার ত্বকে মালিশ করতে পারেন। ১ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে নিতে হবে।
খুশকির সমস্যা থাকলে সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহার করলে উপকার হবে।