মায়ের সঙ্গে সন্তানের বন্ধন মজবুত হয় এই স্তনদানের মধ্যে দিয়ে। ছবি- সংগৃহীত
বছর ২৯-এর লরেন ম্যাকলেয়ড দুই সন্তানের মা। এক জনের বয়স বড়জোর পাঁচ, আর এক জন দুই। বাড়ির সাধারণ খাবার খাওয়ানোর পাশাপাশি লরেন তাদের এখনও স্তন্যপান অভ্যাস ধরে রেখেছেন। সাধারণত জন্মের পর থেকে ছ’মাস বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধ খাওয়ানো বাধ্যতামূলক। কিন্তু শিশুরা একটু খেতে শিখলে ধীরে ধীরে এই অভ্যাস থেকে সরিয়ে আনতে পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু তা না করে এত বড় বয়স পর্যন্ত স্তন্যপান করানো নিয়ে লরেনকে কটাক্ষের শিকার হতে হয়। লরেন বলেন, “এত বড় বয়স পর্যন্ত সন্তানকে স্তন্য খাওয়াতে পারব বলে ভাবিনি। যেহেতু আমার দ্বিতীয় সন্তান ছোট, তাই তা সম্ভব হয়েছে।”
যদিও লরেন এবং তাঁর স্বামীর ধারণা ছিল, তাঁদের প্রথম সন্তানের বয়স দুই হলেই সে এই অভ্যাস ছেড়ে দেবে। কিন্তু আদতে তা হয়নি। বাড়ির বাইরে যখন তখন দুধ খাওয়ার বায়না জুড়ে বসলে, তার চাহিদা মতো স্তন্য দান করেন লরেন। লোক সমাজে যা অত্যন্ত নিন্দার বলেই বিবেচিত হয়েছে। কেউ কেউ লরেনকে ‘বিকৃত মানসিকতার মা’-এর তকমাও দিয়েছেন। কিন্তু লরেনের বক্তব্য, “আমি মনে করি, মায়ের সঙ্গে সন্তানের বন্ধন মজবুত হয় এই স্তনদানের মধ্যে দিয়ে। সন্তান জন্মের পরও দীর্ঘ দিন পর্যন্ত স্তন্যপান করাতে পারায় এই সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে।”
চিকিৎসকদের মতে, মায়েদের যদি স্তন্য দিতে সমস্যা না হয়, সে ক্ষেত্রে এই অভ্যাসে কোনও ক্ষতি নেই। লরেনের ক্ষেত্রেও বিষয়টি ব্যতিক্রম। কিন্তু সন্তানের পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত সাধারণত মায়ের স্তনে দুধ থাকার কথা নয়। সেই বিষয়টি অবশ্যই খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy