ভুল ওষুধ খেয়ে গর্ভস্থ যমজ ভ্রূণ ঝরে গেল অচিরেই। ছবি: সংগৃহীত।
স্বাভাবিক ভাবে সন্তানধারণে সমস্যা হলে ইদানীং অনেকেই ‘আইভিএফ’ বা ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজ়েশন পদ্ধতি বেছে নেন। যা বেশ খরচসাপেক্ষ এবং জটিল একটি প্রক্রিয়া। অবশ্য সব ক্ষেত্রে যে এই পদ্ধতি সফল হবেই, এমনটাও নয়। এতে হবু মায়ের জীবনের ঝুঁকিও থাকে। সেই সমস্ত কিছু উপেক্ষা করেই মা হতে চেয়েছিলেন এক তরুণী। প্রথমিক ভাবে সফলও হয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয় ওষুধের দোকান থেকে ভুল ওষুধ নিয়ে এসে খাওয়ার পরেই ঘনিয়ে এল বিপদ। গর্ভস্থ যমজ ভ্রূণ ঝরে গেল অচিরেই।
লাস ভেগাসের বাসিন্দা, চার সন্তানের মা টিমিকা টমাসের শরীর থেকে প্রজননের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ ফ্যালোপিয়ান টিউব বাদ পড়েছিল অনেক দিন আগেই। তার পরেও মা হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। তাই টিমিকা তাঁর স্বামীর ইচ্ছেতেই কৃত্রিম পদ্ধতিতে আবার সন্তানধারণের চেষ্টা করেন। আইভিএফ-এর প্রক্রিয়া সফল করতে গেলে নানা রকম ওষুধ, হরমোন ইঞ্জেকশন নিতে হয়। টিমিকা বলেন, “ওই সমস্ত হরমোন শরীরে প্রবেশ করার পর, নানা রকম প্রতিক্রিয়া হয় শরীরে। কিন্তু দোকান থেকে ওষুধ কিনে খাওয়ার পর কষ্টের পরিমাণ মাত্রা ছাড়াতে শুরু করেছিল।”
টিমিকা জানিয়েছেন, ওষুধ খাওয়ার পর হঠাৎ পেটে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হতেই তিনি ওষুধের প্যাকেটটি পড়ে দেখতে যান। যেখানে লেখা রয়েছে, নির্দিষ্ট ওই ওষুধটি গর্ভপাতের জন্যে দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। ওষুধের দোকান থেকে ভুল ওষুধ দেওয়ার পরেই ঘটে এই বিপত্তি। টিমিকার স্বামী ওই ওষুধের দোকানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। তবে দোকানের কর্মীর উপর ভরসা করে এক বারও ওষুধের প্যাকেটটি না দেখে স্ত্রীর হাতে তা তুলে দেওয়া অনুচিত কাজ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে এ-ও সত্য যে, ডাক্তারের হাতের লেখা বুঝতে না পেরে, শুধুমাত্র ধারণার বশবর্তী হয়ে ওষুধ দিয়েছেন ওই দোকানের কর্মীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy