বেশির ভাগ বিমানবন্দরের ইন-লাইন ব্যাগেজ ব্যবস্থায় মোবাইলের ‘পাওয়ার ব্যাঙ্ক’ রীতিমতো মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বহু যাত্রীর। ডোমেস্টিক বা অভ্যন্তরীণ উড়ানের ক্ষেত্রে ইন-লাইন ব্যাগেজ ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এই ব্যবস্থায় যাত্রীরা টার্মিনালে ঢুকে সরাসরি উড়ান সংস্থার চেক-ইন কাউন্টারে গিয়ে বড় বড় ব্যাগ তুলে দেন। আর ব্যাগে মোবাইল চার্জার বা পাওয়ার ব্যাঙ্ক থাকলেই স্বয়ংক্রিয় নজরদারি ব্যবস্থায় তা ধরা পড়ে এবং তৎক্ষণাৎ বাতিল করে দেওয়া হয়। এই পাওয়ার ব্যাঙ্ক নিয়ে হয়রানির শেষ নেই। কিন্তু তাই বলে কি বিমানযাত্রায় পাওয়ার ব্যাঙ্ক নিয়ে ওঠাই যাবে না? মোবাইলে চার্জই বা হবে কী ভাবে? জেনে নিন, কী নিয়ম চালু আছে।
বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ-র নিয়ম অনুযায়ী, বিমানযাত্রার সময়ে চেক-ইন ব্যাগেজে কী কী রাখা যাবে না, সেই তালিকায় শুধু পাওয়ার ব্যাঙ্ক নয়, রয়েছে মোবাইল চার্জার, লাইটার এবং লাইটারে জ্বালানি ভরার রিফিলও। বিমানের ভিতরে যে ব্যাগ পাঠানো হয়, সেখানে মোবাইলের চার্জার বা পাওয়ার ব্যাঙ্কের মতো বৈদ্যুতিন যন্ত্র রাখা যাবে না, এই মর্মে আন্তর্জাতিক নিয়ম রয়েছে। কারণ, পাওয়ার ব্যাঙ্ক বা চার্জারে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি থাকে যা খুব সহজেই গরম হয়ে যায় ও ফেটে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। যদি ব্যাগের মধ্যে ঠিকমতো রাখা না থাকে, তা হলে ফেটে গিয়ে আগুন ধরে যেতে পারে ব্যাটারিতে। সেই কারণেই চেক-ইন ব্যাগেজে এই সব রাখার নিয়ম নেই।
আরও পড়ুন:
তা হলে কি পাওয়ার ব্যাঙ্ক বা চার্জার নিয়ে বিমানে ওঠা যাবে না?
একেবারেই তা নয়। নিয়ম মতো হাতব্যাগে পাওয়ার ব্যাঙ্ক বা মোবাইল চার্জার রাখা যাবে। তবে কত মাত্রার, তার একটা মাপকাঠি আছে। সেটা কী?
১) পাওয়ার ব্যাঙ্ক ১০০ ডব্লিউএইচ (ওয়াট প্রতি ঘণ্টা) হতে হবে। তেমন দু’টি পাওয়ার ব্যাঙ্ক রাখা যেতে পারে।
২) পাওয়ার ব্যাঙ্ক বা মোবাইল চার্জার ১০০-১৬০ ডব্লিউএইচ হলে পরিবহণ সংস্থার অনুমতি নিতে হবে।
৩) ১৬০ ডব্লিউএইচ-এর বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন পাওয়ার ব্যাঙ্ক নিয়ে বিমানে ওঠাই যাবে না।
৪) পাওয়ার ব্যাঙ্ক ব্যবহারেরও নিয়ম আছে। বারে বারে ফোনে চার্জ দিলে হবে না। দীর্ঘ উড়ান হলে এক বারই সম্পূর্ণ চার্জ করে নিতে হবে। কিন্তু যদি দেখেন, ফোন গরম হয়ে যাচ্ছে, তা হলে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিতে হবে।
৫) বিমানে ওঠার আগে দেখে নেবেন, পাওয়ার ব্যাঙ্ক ঠিকমতো কাজ করছে কি না, ব্যাটারি ঠিক আছে কি না। পাওয়ার ব্যাঙ্ক খারাপ থাকলে বা তাতে কোনও সমস্যা হলে সেটি না নেওয়াই নিরাপদ।
৬) বিমানে বৈদ্যুতিন যন্ত্র ব্যবহার নিয়ে কেবিন ক্রু-দের কিছু নিয়ম থাকে। সেই নিয়ম মেনে চলা উচিত।