রমজান মাস চলছে। সারা দিন উপোস করে সূর্যাস্তের পর কিছু মুখে দেওয়া। রমজান মাসের এটাই রেওয়াজ। যুগ যুগ ধরে দেশে দেশে রমজানের ইফতারে খেজুর খাওয়ার রীতি। কেন সবাই খেজুর খায় উপোস ভাঙার সময়? এর পিছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক কারণ। যা হয়ত সবাই জানেন না। দিল্লির এক বেসরকারি হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট লভনীত বাত্রা জানাচ্ছেন, খেজুর খাওয়ার প্রকৃত কারণ।
এনার্জি
খেজুরের পুষ্টিগুণ প্রচুর। সুগারের পরিমাণ এত বেশি থাকে খেজুরে যে এক কামড়েই অনেকটা এনার্জি পাওয়া যায়। এর মধ্যে আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, গ্লুকোজ, ম্যাগনেশিয়াম ও সুক্রোজ থাকে। যে কারণে খেজুর খাওয়ার মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে শরীরে এনার্জি বেড়ে যায়। সারা দিন উপোস করে শরীরে ক্লান্তি আসে, তা দূর করে এনার্জি জোগাতে সাহায্য করে খেজুর।
অ্যাসিডিটি
উপোস করলে সাধারণত অ্যাসিডিটি হয়। যার থেকে অস্বস্তি হতে থাকে। খেজুর শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা বশে রেখে অস্বস্তি কমায়।
বেশি খাওয়া
সারা দিন না খেয়ে থাকলে খাওয়ার সময় বেশি খেয়ে ফেলার প্রবণতা তৈরি হয়। তাই খেজুর খেয়ে উপোস ভাঙলে এর মধ্যে থাকা জটিল কার্বোহাইড্রেট হজম হতে বেশি সময় নেয়। ফাইবার থাকার কারণে পেট ভরা লাগে। তাই বেশি খাওয়ার আগেই পেট ভরে যায়।
হজম
অনেক ক্ষণ না খেয়ে থাকলে তা পৌষ্টিকতন্ত্রের কার্যকারিতায় ব্যাঘাত ঘটায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও হতে পারে। খেজুর শরীরে উত্সেচক ক্ষরণে সাহায্য করে। ফলে হজম ভাল হয়।
আরও পড়ুন: নিজের ওজন দেখে মিলিয়ে নিন পর্যাপ্ত জল খাচ্ছেন কিনা
ডিটক্সিফিকেশন
উপোস করার ফলে শরীরে যে খারাপ কোলেস্টেরল জমা হয় তা ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে খেজুর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy