Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
who

টিকায় রুখে দেওয়া যায় এমন রোগ নিয়ে নতুন করে কী ভাবছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা?

সম্প্রতি কলকাতায় ‘ভ্যাক্সিন প্রিভেন্টিভ ডিজিজ’ নিয়ে দু’টি কর্মশালার আয়োজন করে হু। বিভিন্ন জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

টিকার সচেতনতাই কমাবে ভয়াল সব অসুখ। ছবি: আইস্টক।

টিকার সচেতনতাই কমাবে ভয়াল সব অসুখ। ছবি: আইস্টক।

মনীষা মুখোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৯ ১২:০৬
Share: Save:

পোলিও, হাম ও রুবেলা বা জার্মান হামের উপর নজরদারি আগেই ছিল, এ বার এই তালিকায় যুক্ত হবে ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি ও নবজাতকদের ধনুষ্টঙ্কার। টিকাকরণে রুখে দেওয়া যায় যে সব অসুখ, তাদের নিয়েই নতুন করে মাথা ঘামাতে শুরু করল ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’ (হু)।

সম্প্রতি কলকাতায় ‘ভ্যাক্সিন প্রিভেন্টিভ ডিজিজ’ নিয়ে দু’টি কর্মশালার আয়োজন করে হু। বিভিন্ন জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। সিদ্ধান্ত হয়, প্রত্যেক জেলায় সরকারি বেসরকারি সমস্ত হাসপাতাল, নার্সিংহোম, ক্লিনিকের চিকিত্সক, এমনকি গ্রামগঞ্জের হাতুড়েদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এই রোগগুলির বিষয়ে।

কী কী বিষয় এই প্রশিক্ষণের আওতাভুক্ত হবে? রোগের লক্ষণ, সহজে রোগ নিরূপণের উপায় এবং চিকিৎসা, সবই থাকবে এই প্রশিক্ষণের সিলেবাসে। কর্মশালায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে, আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা রাজ্যের প্রত্যেক ব্লকে শেষ করা হবে। তার পরই শুরু হবে সাপ্তাহিক রিপোর্ট সংগ্রহের কাজ। প্রত্যেক সোমবার সমস্ত হাসপাতাল ক্লিনিক ও অন্যান্য স্তর থেকে রিপোর্ট আসবে জেলাস্তরে, মঙ্গলবার সেই রিপোর্টগুলি জেলা পাঠাবে রাজ্যস্তরে ও বুধবার সব রাজ্য রিপোর্ট পাঠাবে দিল্লিতে। কোথাও কোনও রিপোর্টে এই রোগলক্ষণগুলির কোনওটা দেখা দিলেই জেলাস্তর থেকে ক্রস ভেরিফিকেশন করতে টিম যাবে এক সপ্তাহের মধ্যে, রক্ত বা থ্রোট সোয়াব (যখন যেখানে যা প্রযোজ্য) স্যাম্পেল সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে পরীক্ষার জন্য।

আরও পড়ুন: খাবার পাতে রাখছেন না এই সব তেতো? বিপদ ডাকছেন অজান্তেই

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’ (হু)-র লোগো।

আরও পড়ুন: বাজির আগুনে বেশি পুড়ে গেলে কী ভাবে প্রাণ বাঁচাবেন?

উদ্যোক্তা গোষ্ঠীদের অন্যতম সদস্য ও এই কর্মশালায় অংশ নেওয়া জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামী জানান, ‘‘ইতিমধ্যেই দেশের ১২ রাজ্যে এই নজরদারি ব্যবস্থা চালু হয়েছে দেশে। তবে ওই রাজ্যগুলো থেকে উঠে আসা তথ্যে দেখা যাচ্ছে, কিছু কিছু জায়গায় এখনও ভ্যাক্সিন নিয়ে সচেতনতার অভাব রয়ে গিয়েছে। টিকাকরণের সচেতনতা বাড়িয়ে নিয়ম মেনে তার প্রয়োগ ও প্রয়োগের পরবর্তী সচেতনতাই আমাদের লক্ষ্য। টিকাতেই কমতে পারে এমন অসুখগুলির প্রাদুর্ভাব কমানো তো বটেই, সম্ভব হলে নির্মূল করার উদ্দেশ্যেই কর্মশালার আয়োজন। ঠিক ভাবে প্রয়োগ করতে পারলে শহরের সঙ্গে গ্রামের মানুষজনও খুবই উপকৃত হবেন।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy