আদা দেওয়া চা খেয়ে দিন শুরু করবেন, না কি আদা-জল খাবেন? ছবি: সংগৃহীত।
পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় এলেই মায়েরা বলতেন, ‘আদা-জল খেয়ে লেগে পড়া’র কথা। কালের বির্বতনে এই আদা কখন মিশেছে চায়ে, আবার কখনও ‘কাড়া’তে। ঘরোয়া টোটকা হিসাবে আদার ভূমিকা কম নয়। খাওয়াদাওয়ায় গোলমাল হলে শুকনো কাশি নিরাময়ে সুঁঠ খাওয়ার রেওয়াজ আয়ুর্বেদে বহু পুরনো। তবে ইদানীং ওজন ঝরানোর ডায়েটেও আদা নিজের স্থান পাকা করে নিয়েছে। গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপার মতো সমস্যা দূর করার পাশপাশি মেটাবলিজ়ম বা বিপাকহার ভাল করতেও আদা দারুণ কাজ করে। তবে সকালে আদা দেওয়া চা খেয়ে দিন শুরু করবেন, না কি আদা-জল খাবেন, তা বুঝতে পারেন না অনেকেই। এই দুই পানীয়ের কাজ কি আলাদা?
পুরনো ধ্যান-ধারণার মানুষজনের মতে, জলে আদা ফুটিয়ে খাওয়ার যে উপকারিতা, তা চায়ের মধ্যে মিশলে থাকে না। গ্যাস, অম্বল, বদহজমে আদা ফোটানো জল খুব উপকারী। কারণ, আদার রস হজমশক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত পরিশ্রমের পর পায়ের পেশিতে টান ধরলেও আদা ফুটিয়ে জল খেতে বলা হয়। সর্দি-কাশির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। অনেকে আবার রাতে শোয়ার সময় মুখে শুকনো আদা বা সুঁঠ নিয়ে ঘুমোন।
অন্য দিকে, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের উৎস হল আদা-চা। শীতের সকালে এক কাপ আদা দেওয়া গরম চা খেয়ে দিন শুরু করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বাড়ে, তেমন শরীরে ব্যথা-বেদনাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। পেটে গ্যাসের সমস্যা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে আদা দেওয়া চা খেলে আরাম পাওয়া যায়। উদ্বেগ, অবসাদ নিয়ন্ত্রণ এবং স্নায়ু সতেজ রাখতেও আদা দেওয়া চা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
অনেকেই আবার ঈষদুষ্ণ জলে গুঁড়ো আদা মিশিয়ে খান। আদা কুচি করে রোদে শুকিয়ে নিয়েও খাওয়া যায়। তবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে টাটকা আদার রস যে ভাবে কাজ করবে, এ ক্ষেত্রে তেমনটা হবে না। কিন্তু বিপাকহারের মান ভাল করতে আবার সুঁঠের ভূমিকা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy