শুকনো ফল খেলেই উপকার হবে না! ছবি: সংগৃহীত।
আগের দিন রাতে ভেজানো নানা রকম বাদাম এবং শুকনো ফল খেয়ে দিন শুরু করেন। শরীরে প্রোটিন, ভিটামিন, নানা রকম খনিজের ঘাটতি পূরণ করতে এই ধরনের খাবার নিয়মিত খেতে বলেন পুষ্টিবিদেরা। তবে এই ধরনের খাবারে যে হেতু ক্যালোরির পরিমাণ বেশি, তাই তা খেতে হয় পরিমিত পরিমাণে। পাশাপাশি, বাদাম, শুকনো ফল সহজপাচ্য করে তোলার জন্যে জলে ভিজিয়ে রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। এই ধরনের খাবার থেকে অতিরিক্ত মিষ্টি ভাব কমে যেতে পারে ভিজিয়ে রাখলে। তবে কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তাবাদাম, আখরোট, ডুমুর, খেজুর, নানা রকম বেরিজাতীয় ফল কিন্তু বেশি খেলে বিপদ। খাওয়ার সময়ের উপরেও কিন্তু স্বাস্থ্যের ভাল-মন্দ নির্ভর করে। এই সব খাবার সকালে খাওয়া গেলেও তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে কিশমিশ।
১) কাঠবাদাম
প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ভিটামিন ই-এর গুণে সমৃদ্ধ কাঠবাদাম রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। ত্বক এবং চুলের জন্যেও ভাল এই বাদাম।
২) আখরোট
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর আখরোট হার্ট, মস্তিষ্ক এবং চোখের যত্ন নেয়। প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই বাদাম।
৩) খেজুর
প্রাকৃতিক শর্করা এবং ফাইবারে ভরপুর খেজুর কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে করে। শরীরচর্চা করার পর খুব ক্লান্ত হয়ে পড়লে তৎক্ষণাৎ চনমনে ভাব আনতেও সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও খেজুরের জুড়ি মেলা ভার।
৪) শুকনো ডুমুর
ক্যালশিয়াম, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর শুকনো ডুমুর বা ফিগ হাড়ের জন্য ভাল। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে, প্রদাহ কমাতেও শুকনো ডুমুরের ভূমিকা রয়েছে।
৫) কিশমিশ
বিভিন্ন রকমের শুকনো ফলের মধ্যে কিশমিশও থাকে। বিশেষ এক ধরনের আঙুর শুকিয়ে তৈরি হয় কিশমিশ। দেখতে নিরীহ হলেও অন্যান্য শুকনো ফলের সঙ্গে সকালে কিশমিশ খেলে কিন্তু বিপদ। কারণ, কিশমিশের মধ্যে শর্করার পরিমাণ অনেক বেশি। তাই ডায়াবেটিকদের জন্য কিশমিশ মোটেই ভাল নয়। আবার, দাঁত ক্ষয়ে যাওয়ার পিছনেও কিন্তু এই কিশমিশের হাত রয়েছে। তাই সকালে এই শুকনো ফলটি না খাওয়াই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy