কে ছিলেন প্রথম ‘সিক্রেট সান্তা’? ছবি: শাটারস্টক।
বড়দিন মানেই আনন্দ আর আলোর উৎসব। আট থেকে আশি সকলেই মেতে ওঠেন যিশুর জন্মদিন উপলক্ষে। কেকের দোকানে থাকে উপচে পড়া ভিড়। চারিদিক সেজে ওঠে আলোর রোশনাইয়ে। সান্তাক্লজ়, ক্রিসমাস ট্রির পাশাপাশি বড়দিন মানে উপহার দেওয়ার হিড়িক। তবে এখন শুধু শিশুদের জন্যই নয়, অফিস সহকর্মী থেকে বন্ধুবান্ধবকেও উপহার দেওয়ার প্রচলন শুরু হয়েছে। শিশুদের স্কুলেও শুরু হয়েছে একে অপরকে উপহার দেওয়ার রেওয়াজ! উপহার পেয়ে সকলেই খুশি হন বটে, তবে কে সেই উপহার দিলেন, সেই রহস্য কিন্তু রহস্যই থেকে যায়। পশ্চিমে উপহার দেওয়ার এই চল বহু দিন ধরেই। ভারতে গত কয়েক বছরে ‘সিক্রেট সান্তা’র বিষয়টির জনপ্রিয়তা বেড়েছে।
বড়দিনে উপহার দেওয়ার চল তো কয়েকশো বছর আগেও ছিল। তবে গোপনে উপহার দেওয়ার চল বা ‘সিক্রেট সান্তা’র প্রচলন কোথায় শুরু হল? কবে থেকেই বা শুরু হল?
‘সিক্রেট সান্তা’র চল কিন্তু খুব বেশি পুরনো নয়। যদিও সিক্রেট সান্তার প্রচলন কে শুরু করেছিলেন, সেই বিষয়ে কোনও সঠিক নথি বা প্রমাণ নেই। তবে অনেকেই মনে করেন, আমেরিকান সমাজসেবী ল্যারি ডিন স্টুয়ার্টই প্রথম এই বিষয়টি চালু করেন। ১৯৭৯ সালে আমেরিকার কানসাস শহরে ল্যারি বড়দিনের সময়ে দরিদ্র পরিবার এবং অভাবী মানুষজনের কাছে অর্থ ও কিছু উপহার পাঠাতে শুরু করেন। তিনি কখনওই চাইতেন না, তাঁর নাম কেউ জানতে পারুক। নাম গোপন রেখে ক্রিস্টমাস উপলক্ষে উপহার দেওয়ার চল প্রথম তিনিই শুরু করেন। কয়েক বছরের মধ্যেই তিনি ‘কানসাস সিটির সিক্রেট সান্তা’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠেন। বছরের পর বছর ধরে তিনি নিজের জমানো পুঁজি গরিবদের দান করেন। ২০০১ সালে নিউইয়র্কে ৯/১১ হামলার পর, ল্যারি শহরের লোকেদের জন্যও হাজার হাজার ডলার দান করেছিলেন।
অবশেষে মৃত্যুর আগে, ২০০৬ সালে ল্যারি তাঁর পরিচয় প্রকাশ করেন। ২০০৭ সালে তিনি ক্যনসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তবে নাম গোপন করে গরিব মানুষের পাশে থাকার ল্যারির এই প্রয়াস অনেককেই পরবর্তী কালে অনুপ্রাণিত করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy