ফোন চুরি হলে দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েন অনেকেই। কেউ হারানো ফোনের খোঁজ করতে গিয়ে উদ্ভ্রান্ত হয়ে ওঠেন, কেউ দৌড়ন থানায়। ফোন চুরি হয়ে গেলে দিশাহারা না হয়ে সবচেয়ে আগে যে কাজগুলি করতে হবে তা জেনে রাখা ভাল।
সবচেয়ে জরুরি কাজ হল ফোনের ‘ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইক্যুপমেন্ট আইডেন্টিটি’ (আইএমইআই)নম্বরটি সংরক্ষণ করে রাখা। মোবাইল ফোন যে বাক্সে দেওয়া হয়, তার উপরেই ১৫ সংখ্যার আইএমইআই নম্বরটি লেখা থাকে। সেই কোথায় লিখে বা সেভ করে রাখলে ভাল হয়। ফোন চুরি গেলে বা হারিয়ে গেলে, তা উদ্ধার করতে ওই নম্বরটিই কাজে আসে।
যদি আইফোন হয়, তা হলে ‘অ্যাপল সাপোর্ট’-এর ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের আইডিতে ঢুকতে হবে। তার পর ‘লস্ট অ্যান্ড ইরেজ মুড’ চালু করে দিলেই যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ করা যাবে।
আরও পড়ুন:
অ্যান্ড্রয়েড ফোন হলে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক দ্বারা পরিচালিত সিইআইআর ওয়েবসাইটে গিয়ে ফোনের সিম ব্লক করা যাবে। অথবা টেলিকম অপারেটরকে ফোন করেও সিম ব্লক করা যাবে। তবে তার আগে পুলিশে এফআইআর করা জরুরি। এফআইআরের কপি, মোবাইল কেনার বিল, যে অভিযোগ দায়ের করেছেন সেই ‘কমপ্লেন নম্বর’ জমা দিতে হবে।
গুগ্লে গিয়ে ‘ফাইন্ড মাই ডিভাইস’ ওয়েবসাইট খুলতে হবে। এর পর যে গুগ্ল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে লগইন করা ছিল, সেই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে এই ওয়েবসাইটে লগইন করুন। লগইন হলে ওই ওয়েবসাইটটিতেই দেখাবে আপনার ফোনটি কোথায় আছে। সেই লোকেশন গুগ্ল ম্যাপে দেখা যাবে।
তবে এত কিছু করেও যদি আপনার মনে হয় যে, ফোনটি আর পাওয়া যাবে না সে ক্ষেত্রে আপনার মোবাইল ফোনে থাকা সমস্ত তথ্য যাতে অন্যের হাতে চলে না যায়, তখন ‘ইরেজ ডেটা’ অপশনটি ব্যবহার করে ফোনের সমস্ত তথ্য মুছে ফেলুন। মোবাইল যদি অফলাইনে থাকেও, মোবাইল যখনই অনলাইনে আসবে, সব তথ্য মুছে যাবে।
ফোনে সব সময় শক্তিশালী পিন বা পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখা উচিত। ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ফেস লক-এর পদ্ধতি ব্যবহার করলে সবচেয়ে ভাল। তা হলে ফোন চুরি গেলেও সহজে তা খোলা সম্ভব হবে না।