Advertisement
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
COVID 19

এ বার কোভিড-ঢেউয়ে আক্রান্ত হচ্ছে বাচ্চারাও, কী করে সামলাবেন আপনার সন্তানকে?

একটি ভাইরাস যত রূপ বদলায় বা ‘মিউটেট’ করে, তত নতুন ভাবে আক্রমণ করার উপায় বার করে নেয়। কোভিডের নতুন ভারতীয় প্রজাতি বাচ্চাদের মধ্যেও দ্রুত ছড়াচ্ছে।

ওদেরও পরাতে হবে মাস্ক।

ওদেরও পরাতে হবে মাস্ক। ছবি: সংগৃহীত

পৃথা বিশ্বাস
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২১ ১৯:২২
Share: Save:

গত বছর মনে হয়েছিল, ছোটদের তেমন ঝুঁকি নেই। কিন্তু কোভিডের নতুন ঢেউ থেকে নিস্তার পাচ্ছে না বাচ্চারাও। একটি ভাইরাস যত রূপ বদলায় বা ‘মিউটেট’ করে, তত নতুন ভাবে আক্রমণ করার উপায় বার করে নেয়। কোভিডের নতুন ভারতীয় প্রজাতি বাচ্চাদের মধ্যেও দ্রুত ছড়াচ্ছে। অভিভাবক হিসেবে কী ভাবে সচেতন হবেন জেনে নিন।

পুরনো নিয়ম

মাস্ক পরা অতি আবশ্যক। তবে দু’বছরের ছোট শিশুকে মাস্ক পরানো সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে বাবা-মায়েদেরই সারাক্ষণ মাস্ক পরতে হবে। শিশু বিশেষজ্ঞ অপূর্ব ঘোষের মতে, ‘‘যে শিশুরা এখনও ব্রেস্টমিল্কের উপর নির্ভরশীল, তাদের মায়েদেরই সাবধানী হতে হবে। মাস্ক পরা এবং ঘন ঘন স্যানিটাইজ করা ছাড়া অন্য কোনও রাস্তা নেই।’’ তবে ৩-৫ বছরের বাচ্চাদেরও বেশিক্ষণ মাস্ক পরিয়ে রাখা সম্ভব নয়। তাদের মাস্ক খুলে ফেলার একটা প্রবণতা দেখা যায়। তাই বাবা-মায়েদের বাচ্চাদেরকে তাদের মতো করে বুঝিয়ে বলতে হবে, কেন মাস্ক পরা জরুরি। কেন হাত স্যানিটাইজ করা জরুরি। তবে তাদের বোঝাতে গেলে নিজেকেও উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা দরকার। আপনাকে দেখেই আপনার সন্তান শিখবে। বাবা-মা বা বাড়ির অন্য কারও যদি সামান্য মাত্রায়ও কোনও উপসর্গ দেখা যায়, সঙ্গে সঙ্গে টেস্ট করিয়ে নিন। এবং উপসর্গ দেখা গেলেই বাচ্চাকে যতটা সম্ভব তাঁর কাছ থেকে দূরে রাখুন।

সামাজিক দূরত্ব

যেহেতু বাচ্চাদের মাস্ক পরিয়ে রাখা মুশকিল, তাই সংক্রমণের মূল জায়গাটাই কম করতে হবে। অহেতুক বাইরে না বেরনোই ভাল। যতই ঘরবন্দি হয়ে হাঁপিয়ে যান, শুধু শুধু রেস্তোরায় যাওয়া, পার্কে যাওয়া বা দোকান-বাজারে যাওয়া বন্ধ করুন। যদি বেরনোর খুব প্রয়োজন হয়, তাহলে অবশ্যয়ই মাস্ক ব্যবহার করবেন। চিকিৎসক সঞ্জয় ঘোষের কথায়, ‘‘স্কুল তো বন্ধ হয়েই গেল। কিন্তু বাচ্চাদের নিয়ে অন্য কোথাও খুব একটা না বেরনোই উচিত। তাদের বাড়িতেই নানা রকম কাজে-খেলায় ভুলিয়ে ব্যস্ত রাখতে হবে।’’ অপূর্ব ঘোষ এ-ও বললেন, ছোটখাটো কারণে বাচ্চাদের ডাক্তার দেখানোরও প্রয়োজন নেই। ‘‘আমার কাছে এক বৃদ্ধা তার নাতনিকে নিয়ে মালদা থেকে দেখাতে এসেছিলেন। আমি খুব বকাবকি করেছি। বাচ্চাদের মধ্যে কোভিডের জন্য বাড়াবাড়ি রকমের অসুস্থতা এখনও দেখা যায়নি। কিন্তু বাচ্চার থেকে যদি ঠাকুমাও সংক্রমিত হন, তাহলে সেটা গুরুতর হতে পারে। বাচ্চা খাচ্ছে না বলে এত দূর আসার কোনও মানে হয় না,’’ বললেন তিনি।

পুষ্টিকর খাওয়া

কোভিড-আক্রান্ত বাচ্চাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থা এখনও সে ভাবে চোখে পড়েনি। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আগেই সাবধানী হয়ে যাওয়া প্রয়োজন। যেহেতু নতুন প্রজাতির ভাইরাস সম্পর্কে কেউ-ই সে ভাবে কিছু আন্দাজ করতে পারছেন না, তাই সতর্ক থাকাই কাম্য। শিশু বিশেষজ্ঞ ত্রিদিব বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, বাচ্চাদের খাওয়াদাওয়ার দিকে একটু মনোযোগ দিতে হবে। ‘‘পুষ্টিকর খাবার খাওয়ান বাচ্চাকে। মাল্টিভিটামিন এবং জিঙ্ক সাপ্লিমেন্ট খাওয়াতে পারেন। তবে দুধ, ডিম, মাছ মাংসের মতো প্রোটিনে ভরপুর খাবার রোজকার খাবারে যেন অবশ্যই থাকে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Children coronavirus COVID 19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy