Advertisement
E-Paper

ফিরছে ভাত-ঘুম! কালচক্র ফের ঘুরেছে, ঘুরিয়েছে অভ্যাসের চাকা, যাপনের নতুন নীতি ‘ধীরে চলো’!

কেউ বিদেশের চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে চাষবাসে মন দিচ্ছেন। কেউ বা স্মার্ট ফোন এড়িয়ে চলছেন। তাড়াহীন জীবন বেছে নিচ্ছেন নানা ভাবে। ধীরে চলা এখন নতুন অভ্যাস। তা সচেতন ভাবে রপ্ত করছেন অনেকে। ‘স্লো লিভিং’ বলেই সে অভ্যাস জনপ্রিয় বিদেশে। বাঙালিরা কতটা আপন করেছে সেই ভাবনা? খোঁজ নিল আনন্দবাজার ডট কম।

What is the Slow Living trend, many people in India made changes to their lifestyle by following this, know the sociological aspect

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৫ ০৮:৫৫
Share
Save

রোজ ঘড়ি ধরে দৌড়, পদোন্নতির জন্য রাত জাগা এবং শ্বাস নেওয়ার ফুরসত না পাওয়ার মতো নানা ব্যস্ততা এক সময়ে সাফল্যের মাপকাঠি ছিল। এখন সেকেলে!

তাই বলে দৌড় সেকেলে নয়। স্বাস্থ্যরক্ষার দৌড়, আনন্দের দৌড়— সে সব কিন্তু দিব্যি আছে। তার জন্য সময় বার করতে কেউ বিদেশের চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে মফস্‌সলে জমি কিনে চাষ করছেন, কেউ বা চাকরি খুঁজছেনই না। নিজের সময়ে নিজের পছন্দের কাজ করে স্বল্প আয় নিয়ে আনন্দে থাকার চেষ্টা করছেন। কেউ আবার স্মার্ট ফোন পর্যন্ত কিনছেন না। ইন্টারনেটের দ্রুততার থেকেও দূরে থাকছেন। নাভিঃশ্বাস তুলে দৌড়নোর বিরুদ্ধে এঁরা সকলেই। তাঁদের নতুন নীতি ‘ধীরে চলো’!

এক কালে বাঙালিদের ভাত-ঘুম, ধীর-স্থির জীবনধারা নিয়ে হাসতেন অনেকেই। এখন সে ভাবনা বিদেশ ঘুরে ইংরেজি নাম ‘স্লো লিভিং’ নিয়ে ফিরেছে বঙ্গেও। তার সঙ্গে ফিরছে ভাত-ঘুমের অভ্যাসও।

ঘুমনোর তাড়া, ওঠার তাড়া, খাওয়ার তাড়া, ভাবার তাড়া, কাজের তাড়া। এক মুহূর্ত নিশ্বাস ফেলার সুযোগ নেই। এমন তাড়ার জীবনে যদি হঠাৎ কেউ দু’দণ্ড থমকে দাঁড়ায়? সে কি পরাজিত? সে কি অসফল? এ সব প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে সমাজের একাংশ। যাতে জীবনটা উপভোগ করার খানিক সময় পাওয়া যায়, তার জন্য পুরনো দিনের যাপন-পদ্ধতি ফিরিয়ে আনছেন অনেকে। আবার নতুন কিছু নিয়মও তৈরি হচ্ছে। আর এই যাপন-ভঙ্গির নামকরণ হয়েছে ‘স্লো লিভিং’।

কী এই ‘স্লো লিভিং’?

১৯৮৬ সালে ইটালিতে ‘স্লো ফুড মুভমেন্ট’ শুরু হয়েছিল।মূল উদ্দেশ্য ছিল বার্গার-র‌্যাপ-রোলের মতো ‘ফাস্ট ফুড’ খাওয়ার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। বাড়িতে রান্না করা খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ভাল, তা নিয়ে সচেতনতা গড়াই ছিল লক্ষ্য। কারণ, তত দিনে পশ্চিম দুনিয়া প্রচণ্ড দ্রুত গতিতে রোজের দৌড়ে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে।পরবর্তীকালে জীবনযাপনের অন্যান্য দিকেও গতি কমানোর কথা শুরু হয়।যেমন—কাজের গতি, সম্পর্ক, ভ্রমণ, এবং সাধারণ জীবনযাত্রা। ‘স্লো লিভিং’ মূলত জীবনযাত্রার গতি কমিয়ে নিজেকে সময় দেওয়ার কথা বলে। যাতে শরীর ও মন ভাল থাকে। আনন্দে বাঁচা যায়। গতিময়তার সঙ্গে মানসিক চাপ, উদ্বেগের সরাসরি যোগ আছে। একটু ধীর-স্থির ভাবে চললে তা কমে বলেও বিশ্বাস করেন অনেকে। পশ্চিম দুনিয়ায় বেশ কয়েক বছর হল ‘স্লো লিভিং’ বেশ চর্চায়। এখন ধীরে ধীরে এ দেশেও এসেছে। বহু বাঙালিও এ ভাবে ভাবছেন এবং চলছেন। কর্পোরেট ব্যস্ততা, বেশি রোজগারের চাপ, কম বয়সে অনেক খ্যাতির জন্য দৌড়— সে সব থেকে উল্টো পথে হাঁটার একটি প্রবণতা তৈরি হয়েছে। বিক্ষিপ্ত ভাবে তা করছিলেন কেউ কেউ। এখন এমন মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে কথাও হতে শুরু করেছে।

What is the Slow Living trend, many people in India made changes to their lifestyle by following this, know the sociological aspect

‘স্লো লিভিং’-এ যাপন-পদ্ধতির বদল। ছবি: সংগৃহীত।

ঘরের কাছেই আছেন অনেকে...

বীরভূমের এক গ্রামে থাকতে শুরু করেছেন এক দম্পতি— অপরাজিতা সেনগুপ্ত ও দেবল মজুমদার। আর আছে তাঁদের ১৫ বছরের কন্যা। আগে আমেরিকায় থাকতেন তাঁরা। প্রযুক্তি, সুযোগ-সুবিধা আর ব্যস্ততার মাঝেই বড় হচ্ছিল ছোট্ট মেয়ে। কিন্তু দম্পতি টের পান, বেঁচে থাকার মৌলিক চাহিদাগুলি অর্থাৎ জল, খাদ্য, বায়ু, এ সবের মধ্যে দিয়েই বিষ ঢুকছে শরীরে। অপরাজিতার কথায়, ‘‘বুঝতে পারছিলাম, এই মৌলিক জিনিসগুলির প্রতি উদাসীনতা তৈরি হয়ে গিয়েছে। ক্রমশ পণ্যের উপর নজর বাড়ছে। এদিকে চাকরির জন্য দু’জনেই ছুটে বেড়াচ্ছি, কিন্তু সন্তানের জন্য সময় বার করতে পারছি না। টাকা রোজগার করার দৌড়ে সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। তাকে ভুলিয়ে রাখতে প্লাস্টিকের খেলনা, সিন্থেটিক পোশাক, মোবাইল-ট্যাব কিনে দিচ্ছি। আমাদের পূর্বপুরুষদের থেকে পাওয়া খাদ্যাভ্যাস ভুলে ফাস্ট ফুডের জগতে ঢুকে যাচ্ছি। এর পরই দেবল আর আমি খাবার নিয়ে পড়াশোনা করি। তাতে দেখা যায়, সবকিছুতেই গোলমাল। বিষাক্ত হয়ে উঠছে শরীর। সেটিই বোধহয় সঙ্কেত ছিল আমাদের জন্য।’’

বছর দশেক হল দেশে ফিরেছেন অপরাজিতারা। বীরভূমে দুই একর জমিতে চাষাবাদ শুরু করেন দু’জনে। মাটির বাড়ি বানান। বাঙালির পুরনো খাদ্যাভ্যাসে ফিরে যান। নিজেদের জমি থেকেই ফল-সব্জি, চাল উৎপাদন করে যাপন শুরু করেন। আমেরিকা থেকে আসা পরিবারের নতুন অধ্যায়ের সূচনা। গতি কমে গিয়েছে তাঁদের জীবনের।

What is the Slow Living trend, many people in India made changes to their lifestyle by following this, know the sociological aspect

বীরভূমে অপরাজিতা-দেবলের সংসার। ছবি: সংগৃহীত।

সন্তানের সঙ্গে অঢেল সময় কাটানো, প্রতিবেশীদের সঙ্গে গল্প করা, গোটা বই এক নিমেষে শেষ করে ফেলা, এ ভাবেই দিন কাটছে তাঁদের।

অপরাজিতা জানালেন, এমন জীবনে যে দুশ্চিন্তা নেই, তা কিন্তু নয়। এখন চাষাবাদ থেকেই তাঁদের আয়। যেখানে অনিশ্চয়তা রয়েছে। আগের মতো প্রচুর আয় নেই। তবে তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমাদের কাছে এখন সম্পদের সংজ্ঞা পাল্টে গিয়েছে। হয়তো বড় বাড়ি, গাড়ি করার মতো টাকাপয়সা নেই। কিন্তু সময় থাকে হাতে। তা অমূল্য। ইচ্ছে মতো কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। অবসর পেয়েছি। আমরা বেড়াতে গেলেও অনেক দিন সময় নিয়ে ঘুরি। ফেরার তাড়া থাকে না খুব। সময় নিয়ে ট্রেনে চেপেই যাই। রোজের খাবার তৈরির জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে পারি। যেমন, ধান থেকে চাল হওয়ার পর সেই চালকে পুরনো হতে দিই। তারপর রান্না হয়। শাকসব্জির ক্ষেত্রেও এক নিয়ম। আচার বানাই, জ্যাম-জেলিবানাই। মেয়েকে প্রকৃতির মাঝে বড় করতে পেরেছি। গ্রামের শিশুদের সঙ্গে মাঠে খেলে। ওর মনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা যেন তুলনায় কম। মেয়ের উপর কিছু চাপিয়ে দিতে চাই না। তবে চাইব, বড় হয়ে কর্পোরেট দুনিয়ার অন্ধকারে যেন ঢুকে না যায়।’’

সকলের পক্ষে শহর ছেড়ে গ্রামে গিয়ে এই ধারার যাপন করা সম্ভব নয়। কিন্তু শহুরে গতিপ্রকৃতিও দমবন্ধ করা মনে হচ্ছে। এই শহরেই এমন অনেকে রয়েছেন, যাঁরা এই হইচইয়ের মধ্যে জীবনে ভিন্ন ছন্দ আনার চেষ্টা করে চলেছেন। সেখানে নেই বয়সের সীমা।

এঁদের মধ্যে অন্যতম উদাহরণ পরিচালক প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য। সম্প্রতি মুক্তি পেতে চলেছে তাঁর ছবি ‘নধরের ভেলা’। পৃথিবীর হুড়োহুড়ির মাঝে হঠাৎ যদি এমন একটি মানুষ এসে পড়ে, যার কাছে সময়ের কোনও দাম নেই? দুনিয়ার সবচেয়ে ধীর গতির মানুষ সে। কতটা অসহায় হয়ে পড়বে, তা বুঝতে বেগ পেতে হয় না। সেই লোকটির গল্পই বলেছেন প্রদীপ্ত। এ গল্প খানিক তাঁরও। মফস্‌সলে বড় হওয়া প্রদীপ্তর কাছে সাইকেলই ছিল একমাত্র বাহন। সিনেমা বানানোর ভূত মাথায় চাপতেই কলকাতায় আসা। সেখানে বাসের গতি দেখে প্রথম প্রথম হতভম্ব হয়ে যেতেন তিনি। তবে এখন শহরের মানুষ প্রদীপ্ত। কিন্তু এত বছর পরেও তেহট্টের অভ্যাস পিছু ছাড়েনি। প্রদীপ্তর কথায়, ‘‘যে সমাজে মানুষ মৃত্যুর আগের মুহূর্ত পর্যন্ত কিছুর আশায় দৌড়ে যায়, সেখানে আমি তো সারাজীবন অবসরেই কাটিয়ে দিলাম। মাঝে মাঝে কাজ করি, ছবি বানাই। আর তাই বোধহয়, এত আনন্দ। আমার কোনও গন্তব্য নেই। তাই তাড়াও নেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে পারি। কিচ্ছুটি না করে। বাসস্ট্যান্ড বা রেলস্টেশনে অনেক ক্ষণ বসে থেকে অপেক্ষা করতে ভাল লাগে। যখন বাহন আসবে, তখন উঠে বসব। এই ধীর গতিতে বড় আনন্দ আছে।’’

প্রদীপ্তের ‘নধরের ভেলা’য় অভিনেতা অমিত সাহা।

প্রদীপ্তের ‘নধরের ভেলা’য় অভিনেতা অমিত সাহা। ছবি: সংগৃহীত।

‘স্লো লিভিং’ কথাটির সঙ্গে পরিচিত নন প্রদীপ্ত। কিন্তু শহরে থেকেও যতটুকু সম্ভব ইঁদুর দৌড় থেকে দূরে থাকতে চান তিনি। অনলাইনের জমানায় হাতে তালি দিয়ে বাজার আনার চেয়ে নিজে হেঁটে গিয়ে বাজার করতে ভালবাসেন। কম খরচে বাঁচতে ভালবাসেন।

বছর চল্লিশের চিত্রশিল্পী এবং ‘জলাদর্শ কালেক্টিভ’-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা কৌস্তভ চক্রবর্তীও নিজের মতো করে ধীর গতিতে যাপনেই বিশ্বাসী। কোভিডের আগে পর্যন্ত জীবনে স্মার্টফোন হাতে তোলেননি। কৌস্তভ বলছেন, ‘‘প্রকৃতির তো একটা ছন্দ রয়েছে। সূর্য ওঠে, ফুল ফোটে, চাঁদ ওঠে, সেই ছন্দের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলত মানুষ। কিন্তু পরবর্তীতে সেই ছন্দ ভেঙে যে যার মতো গতিতে ছুটে চলেছে। ফলে প্রতিযোগিতার মন তৈরি হয়েছে। সম্পর্কগুলো শিথিল হতে শুরু করেছে। আমি পারিনি পা মেলাতে। প্রকৃতির ছন্দের সঙ্গে তাল মিলিয়েই আমার কাজ। জলের সঙ্গে রং মিশতে, একটা রঙের উপর অন্যটি ফুটতে, কাঁচা রং শুকোতে যে সময়টা লাগে, আমাকে দিতে হয়। এর কোনও শর্ট-কাট নেই। তাড়াহীন এই জীবনের মানে যদি ‘স্লো লিভিং’ হয়, তা হলে আমি ধীরেই বাঁচি।’’

একই ভাবে ২৬ বছরের সঙ্গীতশিল্পী তৈষী নন্দী আবার ৯টা-৫টার চাকরি ছেড়ে দিয়ে গান-বাজনার সঙ্গে জীবন কাটাচ্ছেন। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী দলের সাহায্যে শহর থেকে গ্রাম ঘুরে ঘুরে গান-বাজনা শেখান ছোটদের। যাকে বলা হচ্ছে ‘কমিউনিটি মিউজিক’। যেমন, নোনাডাঙায় গিয়ে সেই জায়গার ভৌগোলিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সঙ্গীতকে মিশিয়ে, গানে গানে নাটক অভিনয় করিয়েছিলেন সেখানকার খুদেদের দিয়ে। তৈষীর কথায়, ‘‘আমি যেহেতু শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, বিশেষ করে গজলের ছাত্রী, তাই লখনউ, দিল্লি, আগরা, মুর্শিদাবাদের মতো একাধিক শহরে ঘুরে বেড়াই। শহরগুলির ইতিহাসের সঙ্গে গজলের সম্পর্ক না বুঝলে গান আত্মস্থ করব কী ভাবে? তা ছাড়া, প্রায় রোজই একা একা হাঁটি। প্রতি মুহূর্তে শহরের যে পরিবর্তন চোখে পড়ে, তা আগে কখনও দেখার সুযোগ হয়নি। যে দিন থেকে চেনা ছকের বাইরে জীবনযাপনের সিদ্ধান্ত নিই, সে দিন থেকেই বুঝি মানুষের জীবনে আসলে সময়ের অভাব নেই। কিন্তু মানুষ ফাঁদে পড়ে রয়েছে।’’

কৌস্তভ ও তৈষীর এমন অনেক বন্ধুও আছেন, যাঁরা সময়ের অভাব নিয়ে বাঁচতে পছন্দ করেন না। তাই নিজের নিজের মতো করে কাজ খুঁজছেন। কর্মজীবন ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছেন।

অপরাজিতাদের মতো করে জীবন কাটানোর প্রবণতা একটি ‘ট্রেন্ড’ হয়ে উঠলেও, তা অবশ্যই ব্যতিক্রমী। সময়কে ধন-সম্পদ-টাকার সঙ্গে তুলনা করা হয়। তাই এমন প্রভাবশালী একটি উপাদানকে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনা সমগ্র মানবজাতির পক্ষে সহজ নয় বলেই মনে করাচ্ছেন সমাজতত্ত্বের অধ্যাপক প্রশান্ত রায়। সে কারণেই পশ্চিমের নানা দেশে এই অভ্যাস আগে এলেও এখানে ততটা পরিচিতি পায়নি আগে। প্রশান্তবাবু বলেন, ‘‘সমাজের এই দ্রুত গতি যে স্বাস্থ্য ও মনের পক্ষে ভাল নয়, তা চিকিৎসকেরা বারবার বলছেন। কিন্তু এই ধরনের জীবনযাপন সকলের ক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত নয়। অধিকাংশের পক্ষেই আর্থিক ও সামাজিক কারণে জীবনের গতি কমানো সহজ হবে না। কিন্তু যাঁরা পারছেন, স্বাস্থ্যগত দিক থেকে তাঁদের জীবনের মান অবশ্যই উন্নত হয়েছে।’’

Slow Living Lifestyle Tips Lifestyle Changes

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}